ভ্রমনশিল্প ও বাণিজ্য

দেশে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির সংখ্যা পঞ্চাশোর্ধ

সারাদেশে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির (ওটিএ) সংখ্যা বর্তমানে ৫০টির অধিক। বর্তমানে অনলাইন এই ট্রাভেল এজেন্সিগুলো শুধুমাত্র টিকিট বুকিং সেবাই দিচ্ছে না, পাশাপাশি তাদের হোটেল বুকিং, ভিসা প্রসেসিংয়ের মতো অন্যান্য সেবাও রয়েছে।

রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে আয়োজিত ‘ভ্রমণ ও প্রযুক্তি: বাংলাদেশে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির উত্থান’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার আয়োজিত এ সেমিনারে বক্তারা বলেন – প্রযুক্তির উন্নয়ন ও বৈশ্বিক প্রবণতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনলাইনে ভ্রমণ চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে দেশের ট্রাভেল মার্কেটে এক বড় ধরণের পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। তবে নতুন এই ধারার সঠিক এবং সুস্থ বিকাশের জন্য সরকারের তরফ থেকে পলিসি সাপোর্ট এবং কঠোর মনিটরিং প্রয়োজন।

এভিয়েশন এবং ভ্রমণ বিষয়ক প্রকাশনা দ্য বাংলাদেশ মনিটর এই সেমিনার আয়োজন করে, আর এতে সহায়তা প্রদান করে সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ইনোগ্লোব এবং জিডিএস কোম্পানি – স্যাবার, অ্যামাডিয়াস ও গ্যালিলিও।

আলাদা দু’টি সেশনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক মেজর জেনারেল ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রহমান, এসোসিয়েশন অফ ট্রাভেল এজেন্টস অফ বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট মনসুর আহমেদ কালাম, হজ্জ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট এম. শাহাদাত হোসেন তাসলিম, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার এন্ড ইনফর্মেশন সার্ভিসেস (বেসিস) প্রেসিডেন্ট আলমাস কবীর, ই-ক্যাব প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার প্রমুখ।

সেমিনারে দু’টি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। বাংলাদেশে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির উত্থান শীর্ষক মূল প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন বাংলাদশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, ভ্রমণ ও প্রযুক্তি শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্টার্টআপ বাংলাদশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী টিনা জাবিন।

ওয়াহিদুল আলম তার বক্তব্যে জানান, বাংলাদেশের ১৬ কোটি ৪৫ লক্ষ জনসংখ্যার ৫৮ শতাংশই বর্তমানে ইন্টারনেট সেবার আওতায় এসেছে। দেশের ই-কমার্স মার্কেটের পরিমান প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার, দেশে প্রতি মাসে ব্যাংক ট্রান্সফারের সংখ্যা প্রায় ১৯ লক্ষ, দৈনিক কার্ড ট্রানজেকশনের সংখ্যা ৬ লাখ ৮৫ হাজার, দৈনিক অনলাইন অর্ডারের সংখ্যা ৪০ হাজার, বাৎসরিক ডিজিটাল পেমেন্টের পরিমান ৯৭.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, প্রতিদিন মোবাইল ফোনে আর্থিক লেনদেনের সংখ্যা ৯৫ লক্ষ এবং এর পরিমান ১৭৩.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তাঁর মতে, এমন একটি অনুকুল পরিবেশে বাংলাদেশে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির বিকাশ দ্রুত গতিতেই ঘটবে।

এছাড়া সেমিনারে দু’টি প্যানেল ডিসকাশনেরও আয়োজন করা হয়, যাতে আলোচক হিসেবে এয়ারলাইন, জিডিএস কোম্পানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × one =

Back to top button