ধর্ম ও জীবন

শিক্ষার্থীদের বেত দিয়ে মারা নাজায়েজঃ দেওবন্দের ফতোয়া

মাদ্রাসা-মক্তবে শিক্ষার্থীদের অমানবিক নির্যাতন ও বেত দিয়ে পেটানো ইসলামের দৃষ্টিতে নাজায়েজ উল্লেখ করে ফতোয়া দিয়েছে উপমহাদেশের প্রাচীন দ্বীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দ। এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে দেওবন্দের ইফতা বিভাগ থেকে এ ফতোয়া দেওয়া হয়।

শরীরের যে অংশে শিক্ষকের বেতের আঘাত লাগে সে অংশ জান্নাতে যাবে, উপমহাদেশে প্রচলিত এমন ইসলাম বিরোধী কথাটির কারণেই মূলত মাদ্রাসা-মক্তবে শিক্ষকদের পৈশাচিক নির্যাতন হাসিমুখে মেনে নেয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

দেওবন্দ মাদ্রাসার ইফতা বিভাগে একজন প্রশ্ন করে জানতে চান, প্রচলিত ওই কথাটি আসলেই ইসলাম সম্মত কি না? জবাবে ফতোয়া বিভাগ থেকে বলা হয়-কথাটি পুরোপুরি ইসলামবিরোধী বক্তব্য।

দেওবন্দের ফতোয়ায় বলা হয়, রাসুল (সা.) এর সময় শিশুদের শিক্ষার জন্য নিয়োজিত ছিলেন হযরত মিরদাস (রা.)। যেদিন মিরদাস (রা.) শিক্ষকতা শুরু করবেন সেদিন রাসুল (সা.) তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, হে মিরদাস, সাবধান! শিশুদের তিনবারের বেশি আঘাত করো না। যদি তিনবারের বেশি আঘাত করো, তাহলে কিয়ামতের দিন তুমি আল্লাহর আদালতে আসামী হিসেবে দাঁড়াবে।

এ হাদিসের ভিত্তিতে ফকিহরা বলেন, তিনবারের বেশি শিক্ষার্থীকে আঘাত করা হারাম। ফকিহরা আরও বলেন, শিক্ষার উদ্দেশ্যে কখনোই বেত বা লাঠি দিয়ে আঘাত করা জায়েজ নেই। কোনো ফরজ বিষয় শেখানোর জন্যও লাঠি বা বেত দিয়ে আঘাত করা হারাম।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 3 =

Back to top button