খেলাধুলা

২০ বছরে একটা ফিটনেস টেস্টেও ফেল করিনিঃ মাশরাফি

জাতীয় ক্রিকেট দল খেলছে নিউজিল্যান্ডে কিন্তু একের পর এক বোমা ফাটানো খবর বের হচ্ছে দেশ থেকেই। শুরুটা হয়েছিল শনিবার রাতে করা সাকিব আল হাসানের এক লাইভ ইন্টারভিউর মাধ্যমে। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। সেই রেশ কাটার আগেই এবার বিসিবির কড়া সমালোচনায় মাশরাফি বিন মর্তুজা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে হওয়া ওয়ানডে সিরিজের দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল মাশরাফিকে। তখন কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল তার ফিটনেসজনিত সমস্যার কথা। কিন্তু মাশরাফির দাবি, নিজের ক্যারিয়ারে কোনোদিনও ফিটনেস টেস্টে ব্যর্থ হননি।

সেই দল থেকে বাদ পড়ার পর অবশেষে মুখ খুলেছেন মাশরাফি। দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভিকে দেওয়া পাঁচ পর্বের সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্বে সোমবার রাতে মাশরাফি বলেছেন, ‘পরিসংখ্যান বের করে দেখুন আমার কোনো ফিটনেস পরীক্ষায় ফেল আছে কি না। ২০০১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কোনো ফিটনেস পরীক্ষায় আমি ফেল করিনি।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘ক্রিকেট খেলা শুরুর পর থেকেই আমি বিশ্বাস করি, যখন কেউ আমাকে আক্রমণ করবে, তখন যেদিকটা ছাড় দেয়া হয় সেদিকেই আক্রমণ করবে। তাই আমার যত ইনজুরি হোক, যত যাই হোক, ফিটনেস ইস্যুতে হেলাফেলা করিনি। বোর্ডের কাছে তো সব তথ্য আছে, বের করে দেখতে বলুন। যদি তথ্য না থাকে তাহলে তো এটা আরও বড় অপেশাদারিত্ব।’

এসময় মাশরাফি প্রশ্ন তোলেন বোর্ড কর্তাদের দায়িত্বজ্ঞান নিয়েও। সাধারণ মানুষ ওপর থেকে ভাসাভাসা মন্তব্য করলেও, বোর্ডের কর্তারা যখন তথ্য-উপাত্ত না দেখেই কিছু একটা বলে ফেলেন, তখন সেটি অপেশাদারিত্বের পরিচয় দেয় বলে মনে করেন মাশরাফি। শুধু তাই নয়, বোর্ডের পক্ষ থেকে তাকে দলে না রাখার বিষয়েও কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানালেন তিনি।

মাশরাফির ভাষ্য,‘এ (দল থেকে বাদ দেয়ার) বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়নি। নান্নু (মিনহাজুল আবেদীন) ভাই আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। কিন্তু এই বিষয়ে কথা হয়নি। আমি অন্তত কিছুটা সত্য কথা আশা করেছিলাম।’

এদিকে ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে মাশরাফিকে কফির দাওয়াত দিয়ে রেখেছেন জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। কিন্তু এখনও সেই নির্দিষ্ট দিন আর আসেনি, ‘রাসেল (ডোমিঙ্গো) আমাকে এক কাপ কফির দাওয়াত দিয়েছিলেন। এখনও আমি এর অপেক্ষায় আছি। তিনি আমাকে প্রস্তাবটা দিয়েছিলেন পাকিস্তান সিরিজের আগে। তখন বোর্ডে ডেকেছিলেন আমাকে। আমি তাঁকে বলেছি, তোমার যে পরিকল্পনা, আমাকে বাদ দিলেও জানিও। না বাদ দিলেও জানিও। যেন আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে পারি।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × one =

Back to top button