দেশবাংলা

মাত্র তিন লাখের জন্য আটকে আছে ফুলের মতো শিশুটির চিকিৎসা!

মাত্র তিন লাখ টাকা হলে বাঁচানো যেতে পারে ফুলের মতো এই শিশুটিকে। অটুট থাকতে পারে তার নিষ্পাপ হাসি। কিন্তু দরিদ্র পিতামাতার কাছে সেই টাকা না থাকায় এখন মৃত্যু পথযাত্রী সে। তার জীবন বাঁচাতে সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন তার অসহায় পিতামাতা।

নন্দিনী হাওলাদার নামের মেয়েটির বয়স সাড়ে ৪ বছর। বাবা ভোলা জেলার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে বাস্তুচ্যুত হয়ে রাজধানীতে এসেছিলেন। বাস করছেন নাখালপাড়ায়। এরপর তিন সন্তানের সংসারে সবার মুখে দুইবেলা দু’মুঠো ভাত তুলে দিতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বল্প বেতনে চাকরি নেন।

নন্দিনীর মা গৃহিণী। মাঝে মাঝে অন্যের বাড়িতে কাজও করেন। যৎসামান্য আয়ে পরিবারসহ মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। কিন্তু এরই মধ্যে একমাত্র মেয়ের অসুখ ও তার চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে আরও অকুল পাথারের মধ্যে পড়েছেন তারা।

চিকিৎসাপত্র দেখে জানা যায়, জন্মগতভাবে নন্দিনীর মাথার আকার স্বাভাবিকের চেয়ে বড়। এজন্য তার বাবা নিতাই দাস মেয়ের এক মাস বয়স থেকে চিকিৎসা করাচ্ছেন। তাকে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মাথায় অপারেশন (Hydranencephaly) করা হয়।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মেয়েকে নিয়মিত ওষুধ খাওয়ানোর পরও তার মাথার খুলি বা মস্তিষ্কের নার্ভজনিত সমস্যার আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। চিকিৎসকদের মতে, আবারও একটি জটিল অপারেশনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যেতে পারে।

সেজন্য অস্ত্রোপচার ও আনুষঙ্গিক ব্যয় হিসেবে প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেই অপারেশন বা চিকিৎসার খরচ বহন করা হত-দরিদ্র পিতার পক্ষে প্রকৃত অর্থেই অসম্ভব ও অবাস্তব।

এ নিতাই দাস বলেন, আমি নিম্ন আয়ের একজন অতি দরিদ্র কর্মচারী। আমার পৈতৃক নিবাস ভোলা জেলার দৌলতখান থানার দৌলতখান গ্রামে (৯ নম্বর ওয়ার্ড)। নদীগর্ভে ঘর-বাড়ি চলে গেছে। এরপর হত-দরিদ্র হয়ে নিজ পরিবারের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে জীবিকার উদ্দেশ্যে রাজধানী ঢাকায় আসি। কিন্তু ফুলের মত মেয়েটির চিকিৎসার ভার আর নিতে পারছি না। মাত্র তিন লাখ টাকা হলেই মেয়েটিকে বাঁচাতে পারি।

নন্দিনীর মা দীপা রাণী দাস বলেন, আমরা অসহায় একটি পরিবার। মেয়েটিকে বুকে নিয়ে শুধু দিন-রাত কান্নাকাটি করি। জটিল রোগে আক্রান্ত মেয়েটিকে অপারেশন করে সুস্থ করা সম্ভব। কিন্তু এর জন্য দরকার তিন লাখ টাকা। কিন্তু এত টাকা আমাদের কাছে নেই। তাই চোখের সামনে মেয়েটির করুণ পরিণতি দেখতে হচ্ছে। প্রবাসে ও দেশে আমাদের অনেক হৃদয়বান ভাই/দাদা আছেন। তারা সাহায্য করলে মেয়ের হাসিটা ধরে রাখতে পারি।

মেয়েটির মায়ের মোবাইল ও বিকাশ নম্বর-০১৭৬৪৫২২০৭৭

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − eleven =

Back to top button