মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে জাতীয় পতাকা
সুনামগঞ্জের ছাতকের বাঁশতলায় ১৫ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার গণকবর রয়েছে। সেই গণকবরের ওপর লাল-সবুজের আদলে বা জাতীয় পতাকার রঙে রাঙানো হচ্ছে। এরইমধ্যে একটি কবর রাঙানোর কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কবরগুলোর রাঙানোর কাজ ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় মোতালেব, আশিষসহ অনেকে জানান, মুক্তিযুদ্ধের পাঁচ নম্বর সেক্টরের হেডকোয়ার্টার, দোয়ারাবাজারের বাঁশতলাসহ আশপাশের এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা শহীদদের বাঁশতলার নির্জন স্থানে সমাহিত করা হয়। সেখানে ১৫টি কবর রয়েছে। স্থানীয় এমপি মুহিবুর রহমান মানিক কবরগুলোকে লাল-সবুজের পতাকায় আচ্ছাদনের পরিকল্পনা করেন। এরইমধ্যে বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার জসিম উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে এমপির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
তারা আরো জানান, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত উপজেলা ছাতক পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আর বাঁশতলায় (হকনগর) জাতীর শ্রেষ্ট সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের কবরগুলোকে লাল সবুজের পতাকার আদলে আচ্ছাদিত করা হচ্ছে। এ ব্যতিক্রম কাজ দেখে পর্যটন পিপাসু ও দর্শনার্থীদের আগমন বেড়ে যাবে।
আব্দুল হালিম বীরপ্রতিক জানান, লাল সবুজের পতাকার আদলে মুক্তিযোদ্ধাদের কবর রাঙানো সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কবর রাঙানোর কারণে পর্যটকদের আগ্রহ বাড়বে। এতে মুক্তিযোদ্ধারাও খুশি হয়েছেন। বাংলাদেশের সব শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর লাল সবুজের পতাকায় আচ্ছাদন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানান তিনি, সূত্র ডেইলি বাংলাদেশ।
বাঁশতলা (হকনগর) এলাকায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবরগুলো স্থায়ীভাবে আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করতে কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ১৫ মুক্তিযোদ্ধার কবরের মধ্যে বেশ কয়েকটির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের আগেই জাতীয় পতাকার আদলে মুক্তিযোদ্ধাদের কবরগুলোর ভেতরের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন মাস্টার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ৫নং সেক্টর এলাকার ১৫ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর রয়েছে। আমাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জাতীয় পতাকার আদলে একটি কবরগুলোর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
আরও পড়ুনঃ সম্মান ও স্বীকৃতি, মুক্তিযোদ্ধা তালিকা নিয়ে আইনি জটিলতা
Tag: Online newspaper free, free online newspaper