BreakingLead Newsজাতীয়

তিনটি জিনিস থাকলে বাড়িতেই করোনার চিকিৎসা সম্ভবঃ ডা: জাফরুল্লাহ

একটি থার্মোমিটার, একটি পালস অক্সিমিটার ও ব্লাড প্রেশার পরিমাপের মেশিন থাকলেই বাড়িতে করোনার প্রাথমিক চিকিৎসা করার জন্য যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে গণস্বাস্থ্য ভ্রাম্যমাণ করোনা চিকিৎসা সেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বাড়িতে বসে করোনার প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হলে একটি থার্মোমিটার, একটি পালস অক্সিমিটার ও ব্লাড প্রেশার পরিমাপের মেশিন থাকলেই যথেষ্ট। ব্লাড প্রেসার মাপতে হলে শুধু তিনটি যোগ্যতা থাকতে হবে। দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণ ক্ষমতা ও ইংরেজি সংখ্যা পড়ার সক্ষমতা। এটা কঠিন কিছু নয়। মূল কাজটা হলো একটা লোককে ট্রেনিং দেয়া। প্রয়োজনীয় ওষুধগুলো আমরা বিনা পয়সায় সরবরাহ করবো। কেবল পরীক্ষার খরচটা তাকে দিতে হবে।’

এসময় তিনি বলেন, ‘করোনার ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবার উদ্যোগটি সকলকে দেখানোর জন্য যে কত সহজে অল্প খরচে বাসায় বসেই করোনার প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়া যায়। সম্মিলিত ভাবে এই উদ্যোগ না নিলে এটি সফল করা সম্ভব নয়। সরকারকেও সহযোগিতা করতে হবে। শুনেছি দিল্লীতেও করোনা রোগীদের জরুরি সেবা দিতে একই ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে গরিব, মধ্যবিত্ত ও ধনীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন খরচে আইসিইউর ব্যবস্থা আছে উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আইসিইউতে দৈনিক লাখ টাকা খরচ হওয়ার কোনো কারণ নেই, সর্বোচ্চ ৫০/৬০ হাজার টাকা হতে পারে।

এছাড়া গণস্বাস্থ্যে আইসিইউর সুবিধা সম্পন্ন ৫০ শয্যার একটি করোনা ইউনিট আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ’৮২ সালের ওষুধ নীতি বাস্তবায়ন করলে ১৩০০ টাকার ইনজেকশন ২৫০ টাকায় দেয়া সম্ভব বলে তিনি অভিমত দেন।

এসময় অনলাইনে যোগ দিয়ে গণস্বাস্থ্যের ভ্রাম্যমাণ করোনা চিকিৎসা সেবার ভূয়সী প্রশংসা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা: নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের করোনা রোগীরা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না। আমরা সুশিক্ষিত একটি দল নিয়ে যদি মানুষের দরজায় যেতে পারি সেটা অনেক সুফল বয়ে আনবে। ঠিকমতো পরিচলনা করতে পারলে এই সেবার মাধ্যমে মানুষ অনেক উপকৃত হবে। এটি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সময়োপযোগী একটি পদক্ষেপ।

ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এই উদ্যোগের প্রশংসা করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘যা যা বলা হচ্ছে সেগুলো মেনে চলা দরকার। জানুয়ারিতে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ঢুকেছে। কিন্তু সেটা আমাদের জানানো হয়নি শুধুমাত্র দুটো অনুষ্ঠান করার জন্য। এটা অত্যন্ত নির্দয় আচরণ।

বিশেষ এই উদ্যোগের জন্য তিনি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি সোস্যাল মিডিয়ায় এই উদ্যোগটি বেশি করে প্রচার করার জন্য তিনি সকলকে অনুরোধ জানান।

ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান করোনা চিকিৎসা সেবার টিম লিডার অধ্যাপক ডা: শওকত আরমান, সোস্যাল সেক্টর ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী পরিচালক ডা: এ এম জাকির হোসাইন, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক নাসিমা ইয়াসমিন প্রমুখ।

পরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত এলাকায় জনস্বার্থে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 13 =

Back to top button