ঘি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়
আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ঘি নানা রোগের উপশম হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা নানা পুষ্টি উপাদান বিভিন্ন ধরনের অসুখ সারাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। অনেকের ধারণা, ঘি খেলে ওজন বাড়ে। কিন্তু একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘি সঠিক পদ্ধতি মেনে নিয়মিত খেলে ওজন বাড়ে না বরং কমে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং সচলতা বজায় রাখতে উপকারী ফ্যাটের প্রয়োজন। ঘি’য়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যাসেনশিয়াল ফ্যাট থাকায় এটি মস্তিষ্কের কোষের কর্মক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও ঘি’র ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ঘি খেলে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়-
১. খালি পেটে ঘি খেলে শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রক্তে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। এতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
২. ঘি’য়ে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানগুলো শরীর থেকে বের করে ক্যান্সারের আশঙ্কাও কমিয়ে দেয়।
৩. খালি পেটে নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘি খেলে অস্থিসন্ধির সচলতা বাড়ে। সেই সঙ্গে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতিও পূরণ হয়। ফলে হাড়ের রোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
৪. প্রতিদিন খালি পেটে ঘি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ত্বকের কোলাজেনের উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে সুন্দর।
৫. একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, ঘি-এ থাকা ‘মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড’ শরীরে জমে থাকা ‘ফ্যাট সেল’ গলাতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন ২ চামচ ঘি খালি পেটে খেতে পারলে শরীরে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। আবার খাবারে ২ থেকে ৩ চামচ ঘি খেলে হজমশক্তিও বাড়ে। এ ছাড়া অ্যালার্জি প্রতিরোধে, সর্দি-কাশির কষ্ট কমাতে ঘি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে, সূত্র : জি নিউজ।
আরও সংবাদঃ খাদ্যাভ্যাস ও জেনে নিন ঘি-এর ১০ উপকারিতা
Tag: Latest news for health, latest health news