দেশে দরিদ্র ও অতি দরিদ্রের হার কমেছে
দেশে দরিদ্র ও হতদরিদ্রের হার কমেছে। দরিদ্রের হার কমেছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং হতদরিদ্রের হার কমেছে দশমিক ৮ শতাংশ। দেশে দরিদ্রের হার কমায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রীর সামনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এসব তথ্য দশমিক ৩ শতাংশ। একনেক সভা শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশে আগে দারিদ্র্যের হার ছিল ২১ দশমিক ৮ শতাংশ, এটা বর্তমানে নেমে এসেছে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে। অর্থাৎ ১ দশমিক ৩ শতাংশ দারিদ্র্যের হার কমেছে।
মন্ত্রী জানান, একই সময়ে অতি দরিদ্রের হারও কমেছে। আগে অতি দরিদ্রের হার ছিল ১১ দশমিক ৩ শতাংশ, এখন তাদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ দশমিক ৮ শতাংশ অতি দারিদ্র্যের হার কমেছে।
এম এ মান্নান বলেন, দরিদ্র ও অতি দরিদ্রের হার কমায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রীও এতে অত্যন্ত আনন্দিত। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং জাতীয় মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এসব কারণেই মূলত দারিদ্র্য ও হতদারিদ্র্য কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রতি বছর জিডিপি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারসহ কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নির্দেশক প্রাক্কলন ও প্রকাশ করে আসছে। এ পর্যায়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব সম্পন্ন হয়েছে। হাউসহোল্ড ইনকাম এ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (হেজ) ২০১৬ অনুযায়ী ২০১৭, ১০১৮, ও ২০১৯ সালের প্রাক্কলনের ক্ষেত্রে সবকিছু ব্যবহার করা হয়েছে।
দারিদ্র্যের ক্ষেত্রে জিডিপি ১ শতাংশ বাড়লে দারিদ্র্য ৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে।২০০০ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। একইভাবে ২০০৫ সালে ৪০ শতাংশ, ২০১০ সালে ৩১ দশমিক ৫, ২০১৬ সালে ২৪ দশমিক ৩ ও ২০১৭ সালে দারিদ্র্যের হাম কমেছে ২৩ দশমিক ১ শতাংশ।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে দারিদ্র্যের হার কমছে। দারিদ্র্য আমাদের প্রধান শত্রু। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দারিদ্র্যের হার কমেছে জানান মন্ত্রী। এ সময় অন্য কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও জানুনঃ আন্তর্জাতিক ও গরিব মানুষের বসবাসে বিশ্বে পঞ্চম বাংলাদেশ
Tag: Bangladeshi news, News Bangladeshi