Breakingআন্তর্জাতিক

সুচির বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের নতুন মামলা

ক্ষমতা অপব্যবহার করে দুর্নীতি করার অভিযোগে নতুন মামলা করা হয়েছে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সুচির বিরুদ্ধে। এতে সুচি একাই নন, তার সরকারের সাবেক বেশ কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্র পরিচালিত গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সুচির বিরুদ্ধে আরো অনেক মামলা আছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, মিয়ানমারের দুর্নীতি বিরোধী কমিশন বলেছে, খিন কিই ফাউন্ডেশন নামের দাতব্য সংস্থার জন্য ভূমির অপব্যবহার করা হয়েছে। এই ফাউন্ডেশনের চেয়ার অং সান সুচি। এর আগে তার বিরুদ্ধে অর্থ ও স্বর্ণালংকার গ্রহণের অভিযোগ আছে।

গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার বলেছে, বুধবার রাজধানী ন্যাপিডতে সুচি ও অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দাখিল করা হয়েছে। এতে সুচি তার পদ ব্যবহার করে দুর্নীতি করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

এ জন্য তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী আইনের ৫৫ ধারার অধীনে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। যদি এতে সুচিকে দোষী প্রমাণ করা হয় তাহলে তার ১৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

এসব অভিযোগের তাৎক্ষণিক জবাব পাওয়া যায়নি সুচির আইনজীবীদের পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য, সুচির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ওয়াকিটকি রাখার জন্য অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে সমর্থকরা দাবি করেন সুচির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশে এসব মামলা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, নভেম্বরে মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় পায় অং সান সুচির দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনএলডি)।

এরপর নতুন করে সরকার গঠনের পথে অগ্রসর হন তিনি। তার অধীনে নির্বাচনের পর প্রথম পার্লামেন্ট অধিবেশন বসার কথা ছিল ১লা ফেব্রুয়ারি।

এদিনই নতুন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু দেশটির সামরিক জান্তা মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী অভিযোগ করে যে, ওই নির্বাচন সুষ্ঠু ছিল না। প্রথমে নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনীর এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাও সেনাদের অভিযোগ উড়িয়ে দেন। এমন অবস্থায় ১লা ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরুর কয়েক ঘন্টা আগে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সুচিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সিংহাসন দখল করে সামরিক জান্তা অং মিন হ্লাইং।

গ্রেপ্তার করে সুচি, তার প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তাদের। কিন্তু দেশের পরিরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে সামরিক জান্তা। প্রতিদিন সেখানে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে, ধর্মঘট হচ্ছে। এতে অচল হয়ে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 + 20 =

Back to top button