জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস করতে হবে লকডাউনেও
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার আগামী ১ জুলাই থেকে সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। এই সময়ে সরকারি–বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি কাজ বা সেবা ছাড়া কেউ বাইরে বের হতে পারবেন না বলেও গতকাল সোমবার ঘোষণা দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একই দিনে এক অফিস আদেশে বলেছে, ওই সময়ে (১ জুলাই থেকে) সব কর্মকর্তা–কর্মচারীকে দপ্তরপ্রধানের নির্দেশে অনন্ত প্রতি তিন দিনে এক দিন অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনের সইয়ে দেওয়া এ অফিস আদেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এসব নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এমন নির্দেশনা নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলে তাঁরা যাওয়া–আসা করবেন কীভাবে, সে প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বলেন, অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম এবং অন্যান্য কার্যক্রম চলছে। এ জন্য এই রকম অফিস জারি করা হয়। যখন এটি জারি করা হয়, তখন লকডাউন ঘোষণা হয়নি। তবে এখনো আদেশটি আছে। অবশ্য এখন এটি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা হচ্ছে।
জানা গেছে, অফিস আদেশে আরও বলা হয়েছে, প্রত্যেককে মাসে কমপক্ষে ৩৫ শতাংশ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া দপ্তরপ্রধানদের প্রতিদিনের হাজিরা প্রতিবেদন প্রশাসনে অবশ্যই পাঠাতে হবে এবং প্রশাসন থেকে হাজিরা গ্রহণের প্রমাণপত্র সংরক্ষণ করতে হবে। এ ছাড়া আদেশে প্রয়োজনে জুমে বা অন্যান্য অনলাইন সভায় যোগদান, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ না করাসহ আরও কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে