ঈদের দিনেই গ্রেফতার হলেন হেফাজত নেতা মাওলানা আসাদ
হাটহাজারী প্রতিনিধি: ঈদের দিনে গ্রেফতার হলেন হেফাজতে ইসলামের হাটহাজারী উপজেলা সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আসাদুল্লাহ আসাদ। বুধবার (২১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় হাটহাজারী থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর মোহাম্মাদ ইদ্রিস।
মাওলানা আসাদ হাটহাজারী উপজেলার হেফাজতের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক। তার বাসা হাটহাজারী মাদরাসার সংলগ্ন শাহজালাল পাড়ায়।
আজ (২১ জুলাই)সকালে ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের পর নিজ বাসায় কুরবানির পশু জবাই করে আনুমানিক সকাল সাড়ে ৮টায় হাটহাজারী মাদরাসায় ফিরার পথে র্যাব পরিচয়ে গ্রেফতার করে সিএনজি যোগে নিয়ে যায় মাওলানা আসাদকে।
এ বিষয়ে মাওলানা ইদ্রিস বলেন, ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে একজন নিরীহ, নিরপরাধ আলেমকে পবিত্র ঈদের দিনে গ্রেফতার করা কতটুকু মানবিক?এমন অমানবিক জুলুমের তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, কিছুদিন পূর্বে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হেফাজতের আমির আল্লামা বাবুনগরীর বৈঠক আলোচনায় কোন নেতাকে আর গ্রেফতার করা হবেনা বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। মাননীয় মন্ত্রী আশ্বস্ত করার পর ও হেফাজতের নেতারা গ্রেফতার থেকে নিস্তার পাচ্ছেনা।
মাওলানা ইদ্রীস আরও বলেন, মাওলানা আসাদুল্লাহ আসাদের বাবা দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছেন,ইতিপূর্বে তার দুই ভাইকেও গ্রেফতার করা হয়েছিলো সর্বশেষ আজ তাকেও গ্রেফতার করা হয়। একজন বাবার তিন নিরপরাধ সন্তানকে গ্রেফতার করে তার পরিবারকে হয়রানি করা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত?অতিশীঘ্রই দেশের সকল নিরপরাধ শীর্ষ আলেমদের মুক্তির দাবী জানাচ্ছি।
মাওলানা ইদ্রিস গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামদের নিরপরাধে গ্রেফতার চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্বহীন হয়ে পড়বে এবং আমার খুব আশংকা হচ্ছে যুবসমাজের জন্য, তারা নেতৃত্বহীন হয়ে পড়লে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগমনের দিন বায়তুল মোকাররমে নিরীহ মুসল্লিদের উপর হামলার প্রতিবাদে হাটহাজারীতে জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থী ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত এবং আহত হন অন্তত ২০ জন।