আরও একটি প্রাদেশিক রাজধানী দখল করলো তালেবান
শনিবার তালেবানের দখলে গেল আরও এক প্রাদেশিক রাজধানী। প্রাদেশটির গভর্নর কাদের মালিয়া বলেন, ‘তালেবানের হামলায় শেবেরঘান শহরের উপকণ্ঠে বিমানবন্দর এলাকায় পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনী ও কর্মকর্তারা।’
২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে আফগানিস্তানের আরেকটি প্রাদেশিক রাজধানী নিজেদের দখলে নিয়েছে তালেবান।দেশটির উত্তরাঞ্চলে তুর্কমেনিস্তান সীমান্তবর্তী জওজান প্রদেশের রাজধানী শেবেরঘান শনিবার সকালে সংগঠনটির নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
‘সেখানে তালেবানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে শেবেরঘান এখন পুরোপুরি তালেবানের দখলে।’
শুক্রবার রাতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ইরানের সীমান্তবর্তী জারাঞ্জ দখলের মাধ্যমে প্রথম দেশটির কোনো প্রদেশের রাজধানী নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয় তালেবান।
নিমরোজ প্রদেশের গভর্নর রোহ গুল খায়েরজাদ বলেছিলেন, রাজধানী শহর জারাঞ্জ দখলে কোনো প্রতিরোধের মুখে পড়েনি তালেবান। তবে বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, শেবেরঘানে তালেবান যোদ্ধাদের প্রতিহত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে আফগান সরকারি বাহিনী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকটি পোস্টে দেখা যায়, জারাঞ্জের কিছু বাসিন্দা তালেবান যোদ্ধাদের স্বাগত জানিয়েছে।
নব্বইয়ের দশকে তালেবান কাবুল দখলের পর সংগঠনটির অগ্রযাত্রা থামাতে ভারত-ইরান-রাশিয়ার সমর্থনে ‘আফগান নর্দার্ন অ্যালায়েন্স’ নামের সামরিক জোট গঠন করা হয়। সেই জোটে অনেকের মধ্যে ছিলেন আফগানিস্তানের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল রশিদ দস্তুম। তার বাড়ি এই শেবেরঘানেই।
ওই দশকে তালেবানের বিরুদ্ধে দেশের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলা জোটটির বিরুদ্ধে হাজারো যুদ্ধবন্দি হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
গত সপ্তাহে ‘কুখ্যাত যুদ্ধবাজ’ হিসেবে পরিচিত দস্তুম তালেবানের বিরুদ্ধে লড়তে তুরস্ক থেকে দেশে ফেরেন।
আফগান সরকার আশা করেছিল, দস্তুমের নেতৃত্বে উত্তরাঞ্চলে তালেবানকে কাবু করা সম্ভব হবে।
তবে শনিবার দস্তুমের নেতৃত্বাধীন বাহিনীসহ আফগান সরকারি বাহিনী পিছু হটায় তালেবান যোদ্ধাদের পরাজিত করার আফগান সরকারের আশায় ভাটা পড়েছে।
ওই ঘটনায় চার হামলাকারীসহ আটজন নিহত হয়। আহত হয় ২০ জন। আফগানিস্তানে নিরাপত্তা সংকট বিবেচনায় শনিবার নিজেদের নাগরিকদের দ্রুত দেশটি ছাড়ার আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
সূত্রঃ এএফপি