পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কার ঘটনায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরিতে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে এসব ভারী যানবাহন নিয়ে ফেরি চলাচল করতে পারবে না।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সচিবালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “পদ্মা সেতুর সঙ্গে আমাদের অনুভূতি জড়িয়ে আছে, এই অনুভূতি হচ্ছে আত্মসম্মানের অনুভূতি। আমরা খুবই বিব্রত এবং খুবই দুঃখজনক হলেও বলতে হচ্ছে, পরপর দুটি ঘটনা ঘটে গেল পদ্মা সেতুতে, আমাদের ফেরি পিলারের সঙ্গে যে সংঘর্ষটা হলো।”
প্রথম যখন এই সংঘর্ষ হয়েছিল, সে সময় তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। পরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবও একটি তদন্ত কমিটি করেছিলেন। সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। তাদের সুপারিশগুলো নিয়ে এখানে (সভায়) দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে, বলেন খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী।
ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর সোমবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে আঘাত হানে। এ সময় ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত একজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনায় দুই জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন। ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয়েছে ৫ সদস্যের কমিটি।
এর আগে গত ২৩ জুলাই সকাল ১০টার দিকে পদ্মা সেতুর ৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খায় রো রো ফেরি শাহ জালাল। এতে ২০ জন যাত্রী আহত হন। ফেরিটি মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে রওনা দিয়ে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আসছিল।