মালেতে শনিবার গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হয় দুই দলের ম্যাচ। ফলে গ্রুপ পর্বে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথটা বন্ধুর হয়ে গেল কিংসের।
মাজিয়া এসসিকে হারিয়ে এএফসি কাপের মিশন শুরু করা বসুন্ধরা কিংসকে রুখে দিয়েছে ভারতের দল বেঙ্গালুরু এফসি। ইন্টার জোনালের গ্রুপ পর্বে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চ্যালেঞ্জটা কঠিন হয়ে গেল অস্কার ব্রুজনের বাহিনীর।
মালেতে শনিবার গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হয় দুই দলের ম্যাচ। ফলে গ্রুপ পর্বে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথটা বন্ধুর হয়ে গেল কিংসের। প্রথম ম্যাচে মাজিয়াকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা কিংসের সামনে নেমেছিল মোহনবাগানের কাছে হারা বেঙ্গালুরু এফসি।
ম্যাচের প্রথমার্ধজুড়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করা কিংস দ্বিতীয়ার্ধে বল দখলে খেই হারালে আক্রমণের ধার বাড়ায় ব্যাঙ্গালুরু। অবশ্য শেষ পর্যন্ত ক্লিনশিট ধরে রাখায় কোনো গোল না হওয়ায় এক পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে দুই দল।
ম্যাচের ৩৩ মিনিটে জোনাথন ফার্নান্দেজের দূরপাল্লার বুলেটটা স্ট্রাইকটা জালে ঢোকার একটু আগে ফিস্ট কর্নারের বিনিময়ে ক্লিয়ার করেন গুরপ্রিত সিং।
ম্যাচের ৫৫ মিনিটে লিড নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে কিংসের। বিপলুর এগিয়ে দেয়া বল থেকে ডি-বক্সের ভেতরে বল নিয়ে বাঁকানো নিচু শট নেন আগের ম্যাচের গোলদাতা রবসন রবিনিয়ো। দারুণ দক্ষতায় পা দিয়ে তা বিপদমুক্ত করেন বেঙ্গালুরুর গোলকিপার গুরপ্রিত।
দ্বিতীয়ার্ধে ৬০ মিনিটের পর বল দখল হারাতে থাকে কিংস। আক্রমণের ধার কিছুটা কমে যায় দলটির। এর সুযোগ নিয়ে একের পর এক আক্রমণ সাঁজাতে থাকে ব্যাঙ্গালুরু।
ম্যাচের ৭৩ মিনিটে মরণ বাঁচা বেঁচে যায় কিংস। ডি-বক্সের ভেতর থেকে সুনীল ছেত্রীর শট রক্ষণে বাধা পেয়ে গতি পরিবর্তন করে জালে ঢোকার সময় বিপদমুক্ত করেন গোলকিপার জিকো। পরে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলটা হেড হয়ে গোলবারে লেগে লাইনের মাঝে পড়ে লাফিয়ে ওঠে। আবারও বিপদমুক্ত করেন জিকো।
এ ড্রয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে যায় কিংস। রাতে মাজিয়ার সঙ্গে মোহনবাগানের ম্যাচ আছে একটি। এ ম্যাচের জয়-পরাজয়ের উপর অনেক হিসেব-নিকেষ থাকছে। মোহনবাগান জিতে গেলে শেষ ম্যাচে তাদের হারাতেই হবে কিংসকে।
আগামী ২৪ আগস্ট শেষ ম্যাচে মোহনবাগানের বিপক্ষে লড়বে বসুন্ধরা কিংস।