অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাওয়া যাবে এসএমএস ছাড়াই
মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়া যাবে এসএমএস ছাড়া। এই টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর দীর্ঘদিন যারা অপেক্ষা করছেন, তাদের নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মিজানুর রহমান বলেন, “করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে যারা দীর্ঘদিন অপেক্ষায় ছিলেন, তাদের দ্রুততম সময়ে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেয়ার জন্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসএমএস ছাড়া কেন্দ্রে যোগাযোগ করে টিকা নিতে পারবেন।”
তিনি আরও বলেন, “এ বিষয়ে আজ একটি নির্দেশনা কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে আছেন, তারা নিকটবর্তী কেন্দ্রে যোগাযোগ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করুন।”
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সংকটের কারণে রোজার ঈদের পর থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম ডোজ নেয়ার পর অনিশ্চয়তায় পড়েন ১৪ লাখ মানুষ। এর মধ্যে আরও চার ধরনের টিকার চালান দেশে এসেছে।
তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জট খুলছিল না। অনেকের প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার পর পাঁচ থেকে ছয় মাস পার হয়ে গেছে। শেষে জাপান থেকে চার চালানে ২৪ লাখ টিকা দেশে আসছে। আর ৬ লাখ টিকা আসার কথা রয়েছে জাপান থেকে।
বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে করোনার টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিতের লক্ষ্যে গড়ে তোলা প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিচ্ছে জাপান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গতকাল পর্যন্ত দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড প্রয়োগ হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ১৬ হাজার ২২ ডোজ। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেয়াদের মধ্য পুরুষ ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯১ এবং নারী ৪১ লাখ ৫১ হাজার ১৩১ জন।
এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৫১ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৯ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫৮ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন।