দেশবাংলা

তিস্তার বাঁধ ভেঙে গেছে, ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কায় ৫০০ পরিবার

গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে নীলফামারীর ডিমলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ২ নং সলেডি স্প্যার বাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ আশপাশের প্রায় ৫০০ পরিবার পড়েছে ভাঙনের মুখে।

সোমবার (৩০ আগস্ট) রাত ২টায় ২ নং স্প্যার বাঁধটি ভেঙে যায়। ফলে সেখানে বসবাসরত পরিবারগুলো তাদের ঘরবাড়ি ও গবাদিপশু নিয়ে উঁচু স্থানে অবস্থান নিচ্ছে।

এ ছাড়া গত তিন দিনে সলেডি স্প্যার-২ এর উজানে ভেন্ডাবাড়ী এলাকায় কুটিপাড়ার ১৫০টি পরিবার ও কয়েক শ একর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়ের হলদিবাড়ী এলাকার স্প্যার বাঁধের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতেও ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে।

ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান, “দিবাগত রাত ২টায় ২ নং স্প্যার বাঁধটি ভেঙে যায়। ফলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়িগুলোসহ আশপাশের সব বাড়ি প্লাবনের শিকার হয়েছে। পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন বাড়ছে। এ অবস্থা থাকলে বাড়িগুলো বিলীন হয়ে যেতে পারে।”

তিনি জানান, নিজে থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছি। শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, “তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ছয় দিন ধরে সরকারি বরাদ্দে বাঁধটিতে জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ফলে পানিতে তলিয়ে যাওয়া বাড়িগুলো ভেঙে পার্শ্ববর্তী উঁচু স্থানে যাচ্ছে।”

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়শ্রী রানী ঢাকা পোস্টকে জানান, স্পার বাঁধ ভেঙে আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকাসহ আশপাশের পরিবারগুলো প্লাবিত হয়েছে তা জেনেছি। ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর মাঝে খাবার বিতরণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − five =

Back to top button