ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে পণ্ড হয়েছে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার খেলা। কনমেবলের নিয়ম অনুযায়ী ৩ পয়েন্টে হারতে পারে ব্রাজিল। কারণ, তাদের কারণে খেলা স্থগিত হয়েছে।
কনমেবলের শৃঙ্খলাবিধির ৭৪নং ধারায় উল্লেখ আছে, ম্যাচ শুরু হয়ে গেলে খেলা থামিয়ে খেলোয়াড়দের ম্যাচ খেলায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যাবে না। খেলতে বাঁধা দেওয়া যাবে না।
খেলোয়াড় সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকলে সেটা মেটাতে হবে ম্যাচ শুরুর আগে বা পরে, ম্যাচ চলাকালীন সময়ে অবশ্যই নয়। যদি এমনটি হয়, তাহলে যে দলের কারণে ম্যাচ থেমে যাবে, সে দল ৩ পয়েন্ট হারাবে। প্রতিপক্ষ দল পাবে সেই ৩ পয়েন্ট।
কনমেবলের শৃঙ্খলাবিধির সেই ধারা অনুযায়ী, সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে আর্জেন্টিনা। যদিও এই পয়েন্টের ব্যাপারে কনমেবল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।
এদিকে খেলা শুরুর পাঁচ মিনিটের মাথায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের হঠাৎ মনে পড়ল যে আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড় কোয়ারেন্টিনবিধি না মেনে খেলতে নেমেছেন! অথচ ওই চার খেলোয়াড় ব্রাজিলে ম্যাচটির তিন দিন আগেই অবস্থান করছিলেন।
হোটেলে থাকা, খাওয়া থেকে শুরু করে নিয়মিত অনুশীলনও করছিলেন তারা। কিন্তু এই তিন দিন ব্রাজিলের জাতীয় স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধান এজেন্সির কর্মকর্তারা কোনো আপত্তি জানাননি যে আর্জেন্টিনার ওই চার খেলোয়াড় খেলতে পারবেন না।
ম্যাচটি যখন শুরু হলো, তার পাঁচ মিনিটের মাথায় হঠাৎ স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মাঠে প্রবেশ করেন। কোয়ারেন্টিনের নিয়ম ভাঙার দায়ে আর্জেন্টিনার একাদশের ওই খেলোয়াড়দের খেলা নিয়ে আপত্তি জানান স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। তাদের অভিযোগের পর মাঠ ছেড়ে ড্রেসিং রুমে চলে যান আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়রা।
ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা মাঠে প্রবেশ করা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ঘিরে ধরলে তারা তখন মেসি ও নেইমারের সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় রেফারি আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুমে পাঠিয়ে দেয়।
তবে কনমেবল এক টুইটে জানিয়েছে, ফিফা আয়োজিত বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের এই ম্যাচ রেফারি স্থগিত করে দিয়েছে। ম্যাচ রেফারি ও ম্যাচ কমিশনার ফিফার শৃঙ্খলা কমিটির কাছে এ নিয়ে প্রতিবেদন দেবে। তার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে ফিফা।