Lead Newsআন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা ইমরান খানের

আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলছেন, “দেশটির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তালেবান কাবুলে কোনো অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গড়তে ব্যর্থ হলে সেখানে গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে।”

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) এই সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচারিত হয়।

বিবিসি’কে ইমরান খান বলেন, “তারা (তালেবান) যদি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারে তাহলে সেই সংকটের কারণে আফগান ভূখণ্ডে গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে। তারা (তালেবান) যদি দেশের সকল পক্ষকে সরকারে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারে, তাহলে আগে বা পরে এই গৃহযুদ্ধ হবেই। এবং সেটির প্রভাব পাকিস্তানেও পড়বে।”

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে সেখানকার সম্ভাব্য মানবিক ও শরণার্থী সংকট নিয়ে উদ্বিগ্ন পাকিস্তান। এছাড়া ওই পরিস্থিতিতে এমন সব সশস্ত্র গোষ্ঠী আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করার সুযোগ পেতে পারে, যাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকার লড়াই করে যাচ্ছে।”

ইমরান খানের ভাষায়, “এই পরিস্থিতির অর্থ একটি অস্থিতিশীল ও বিশৃঙ্খল আফগানিস্তান।”

তিনি আরও বলেন, “সেখানে যদি যুদ্ধ চলতেই থাকে এবং পুরো দেশের ওপরে যদি কাবুলের সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকে; তাহলে সন্ত্রাসীদের আদর্শ ভূমিতে পরিণত হবে আফগানিস্তান। আর তাই, আফগান ভূখণ্ডে সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে এবং সেখানে যদি গৃহযুদ্ধ বা মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয়, তাহলে আমাদের দেশে শরণার্থী সমস্যা দেখা দেবে।”

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, “প্রতিবেশী আফগানিস্তানে দেশটির নারীদের শিক্ষাগ্রহণে বাধা দেওয়া হবে ইসলাম পরিপন্থি। তার ভাষায়, তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা খুবই উৎসাহব্যাঞ্জক। আমি মনে করি তারা মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেবে।”

আফগান নারীদের শিক্ষাবঞ্চিত করা নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, “নারীদের শিক্ষিত হওয়া উচিত নয়, এমন ধারণা শুধু ইসলাম নয় এর সাথে কোনো ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই।”

২০ বছর পর গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখলে নেয় তালেবান। চলতি মাসের শুরুর দিকে তালেবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার ঘোষণা দেয়। আফগান সব সম্প্রদায় ও গোত্রের প্রতিনিধিত্বমূলক প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও প্রধান প্রধান মন্ত্রণালয়গুলোতে তালেবানের কট্টরপন্থী এবং অনুগতদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়।

তবে তালেবান সরকার গঠন করলেও এখনও কোনো দেশই সেই সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। পাকিস্তান এবং কাতার অবশ্য তালেবানের শাসনাধীন আফগানিস্তানকে স্বীকৃতি দিতে এবং তাদের সঙ্গে কাজ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এ নিয়ে জোরেশোরে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পাকিস্তান। অন্যদিকে তালেবানের শাসনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ভারত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 4 =

Back to top button