Lead Newsআন্তর্জাতিক

অভিষেক অনুষ্ঠান করবে না তালেবান সরকার

তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, “দেশের সঙ্কটময় মুহূর্তে অভিষেক অনুষ্ঠান করে তারা সময় নষ্ট করবেন না।

তিনি বলেন, আমরা কোনো ধরনের অভিষেক অনুষ্ঠান করব না। এই সময়টা তারা জনগণের সেবায় মনোযোগ দেবেন বলেও জানান তিনি।

আফগানিস্তানে নতুন মন্ত্রিসভার বাকি পদগুলোয় নিয়োগ দিয়েছে তালেবান। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করেন তালেবানের এই মুখপাত্র।

এর আগে কাবুলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর নতুন সরকারের প্রধান ও কয়েকজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর নাম জানিয়েছিল তালেবান। এখন সরকারের বাকি পদগুলোয় নিয়োগ দেওয়া হলো। সংবাদ সম্মেলনে জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ঘোষিত পদগুলো আফগানিস্তানের নতুন সরকারকে সচল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হচ্ছে।

নতুন মন্ত্রিসভার মর্যাদার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাবিউল্লাহ মুজাহিদ আশা প্রকাশ করে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভবিষ্যতে তাদের স্বীকৃতি দেবে।

আফগানিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে তালেবান মুখপাত্র বলেন, “মৌলিক প্রয়োজন পূরণের জন্য দেশীয় যে রাজস্ব সংগ্রহ হচ্ছে তা যথেষ্ট। এ সময় তিনি জানান, আফগানিস্তানের জমাকৃত অর্থ ছাড় করার জন্য সকল কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করা হচ্ছে।”

গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের দুই সপ্তাহ পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে তালেবান। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী দেশটিতে সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক তহবিলে আফগানিস্তানের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড এবং ইউএস সেন্ট্রাল ব্যাংক। ফলে চরম সংকটে পড়েছেন আফগানরা।

জাতিসংঘ এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, “শীত আসার আগেই আফগানিস্তানের লাখ লাখ মানুষের খাবার ফুরিয়ে যেতে পারে। তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটানো না গেলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে প্রায় ১০ লাখ শিশু মারাও পড়তে পারে।”

জেনেভায় জাতিসংঘের সম্মেলনে গুতেরেস বলেন,
“কয়েক দশক ধরে যুদ্ধ, ভোগান্তি ও নিরাপত্তাহীনতার পরেও আফগানরা ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক সময়ের’ মুখোমুখি। তাই বেঁচে থাকার জন্য আফগানিস্তানের জনগণের সহায়তার প্রয়োজন। দেশটিতে মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় ৬০ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল প্রয়োজন বলে জানান তিনি।”

এর পর আফগানিস্তানকে ১০০ কোটি ডলারের বেশি আর্থিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেয় বিভিন্ন দেশ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 6 =

Back to top button