বন্দী বিনিময় চুক্তিতে চার দেশের মধ্যস্থতা চায় ইসরাইল
ইসরাইল তুরস্ক, জার্মানি, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোর সাথে বন্দী বিনিময় চুক্তি সম্পাদন করতে চায়। শুক্রবার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের সহকারী প্রধান এমন তথ্য প্রকাশ করেছেন।
হামাস নিয়ন্ত্রিত আল-আকসা টিভিকে সালেহ আল-আওরি বলেন, “ইসরাইল চায় বন্দী বিনিময় চুক্তিতে তুরস্ক, জার্মানি, মিসর ও কাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখুক। কিন্তু আমরা দখলদারদের (ইসরাইল) কোনো বাড়তি সুবিধা দিব না।”
তিনি আরো বলেন, “এ (বন্দী বিনিময়) চুক্তির মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের মুক্তির বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের একটি ধারণা দেয়া হবে। এমন একটি চুক্তির মাধ্যমেই কেবল ফিলিস্তিনি বন্দীরা মুক্তি পেতে পারে। বিশেষ করে যে সকল ফিলিস্তিনি বন্দীদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তাদের মুক্তির জন্য এমন একটি চুক্তি দরকার।”
ইসরাইলের গিলবোয়া কারাগার থেকে যে ছয় ফিলিস্তিনি বন্দী পালিয়েছিল তাদের বিষয়ে সালেহ আল-আওরি বলেন, এ ফিলিস্তিনি বন্দীদের পলায়নের ঘটনা ইসরাইলের ইহুদিদের মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছিল। এ ছয় ফিলিস্তিনি ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের মুখে চপেটাঘাত করেছিল। এছাড়া ওই কারাবন্দীরা যেন ফিলিস্তিনিদের বলছিল যে তারাও কারাবন্দী এবং তাদের উচিৎ নিজেদের মুক্ত করা।
২২ সেপ্টেম্বর তারিখে হামাসের রাজনৈতিক বিভাগের সদস্য জাহের জাবরিন বলেন, হামাসের পক্ষ থেকেও ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বন্দী বিনিময়ের একটি রূপরেখা প্রণয়নে ওই চার দেশকে আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু, এ বিষয়ে এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
ওই ছয় ফিলিস্তিনি বন্দীর মধ্যে পাঁচজন ছিলেন ইসলামিক জিহাদ আন্দোলন নামের এক সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং বাকি এক বন্দী ছিলেন ফাতাহ-এর সাবেক কমান্ডার।
সূত্র : ইয়েনি শাফাক