শিক্ষাঙ্গন

চুল কেটে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

মাথার চুল কেটে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সব পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নিয়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষকের বহিষ্কার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।

লাঞ্ছিত একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে জানান, “কয়েক দিন আগে ক্লাস চলাকালে এক শিক্ষক চুল বড় রাখার বিষয়ে ছাত্রদের বকাঝকা করেন। তার ভয়ে সবাই পরদিনই চুল ছোট করেন। রোববার দুপুরে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচিতি বিষয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীরা হলে ঢোকার আগে থেকেই দরজার সামনে ওই শিক্ষক কাঁচি হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। যাদের চুল মুঠোর মধ্যে ধরা গেছে, তাদের মাথার সামনের বেশ খানিকটা চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেন ।”

তারা আরও জানান, “চুল কেটে দেওয়ার পর রোববার রাতে তাদের এক সহপাঠী অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর সোমবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করেন। পরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করার জন্য বিসিক বাসস্ট্যান্ড এলাকার শাহজাদপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজে অবস্থিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস-১ এর গেটে জড়ো হলে ওই শিক্ষক তাদের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে পরীক্ষার হলে যেতে বাধ্য করেন।

এসব ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বহিষ্কার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান রওশন আলম বলেন, “আপনাদের দাবি-দাওয়া লিখিত আকারে জমা দিন। প্রক্টরিয়াল বডি আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থী যেই অপরাধী হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “করোনাকালে নিজেদের নিরাপদ রাখতে আন্দোলন প্রত্যাহার করে আপনারা ঘরে ফিরে যান। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় একটি নতুন প্রতিষ্ঠান। এর মর্যাদা ও সম্মান রক্ষায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখতে হবে।”

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − 7 =

Back to top button