ইভ্যালির সিইও, চেয়ারম্যানের মুক্তিসহ ‘মার্চেন্ট-ভোক্তানৃন্দর’ ৭ দফা দাবি
রবিবার (৩ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ইভ্যালির মার্চেন্ট এবং ভোক্তাবৃন্দ’র ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইভ্যালির রাসেলকে নজরদারির মাধ্যমে দিকনির্দেশনা দিয়ে ব্যবসার করার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইভ্যালির মার্চেন্ট এবং ভোক্তাবৃন্দ’র সমন্বয়ক মো. নাসির উদ্দিন, সহ-সমন্বয়ক সাকিব হাসানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “আমরা ইভ্যালির প্রায় ৭৪ লাখ গ্রাহক ও প্রায় ৩৫ হাজারের অধিক বিক্রেতা এবং পাঁচ হাজারের অধিক স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী ইভ্যালির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। আমরা সবাই জানি ইভ্যালি বর্তমানে বাংলাদেশের প্রথম সারির ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ডিজিটাল মার্কেট প্লেসে ভােক্তাদের পণ্য ক্রয়ে উদ্বুদ্ধকরণ এবং নতুন হাজার হাজার উদ্যোক্তা তৈরিতে ইভ্যালির ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। ইভ্যালির ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে আগামীদিনে বাংলাদেশের জিডিপি বিশ্বের প্রথম ১০ দেশের মধ্যে থাকবে।”
তারা জানান, “কয়েকটি অভিযােগের ভিত্তিতে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিন এবং সিইও মােহাম্মদ রাসেল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে আছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ব্যবসাযর পরিধি বড় হলে কিছু অভিযােগ বা সমন্বয়হীনতা থাকতে পারে। আমরা মনে করি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, ইক্যাব, মার্চেন্ট, ভােক্তাসহ সকলের প্রতিনিধি ও ইভ্যালির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করে এই সমন্বয়হীনতা বা সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব।”
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “এই সংকট মােকাবিলা করতে ব্যর্থ হলে প্রায় ৭৫ লাখ পরিবার ঋণগ্রস্ত হয়ে পথে বসার উপক্রম হবে। আমাদের বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট সকলের আলাপ-আলােচনার মাধ্যমে সংকট নিরসন করে সম্ভাবনাময় একটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা করার সুযােগ দিয়ে লাখ লাখ ভােক্তার স্বপ্নপূরণ এবং হাজার হাজার উদ্যোক্তার ব্যবসায় চালিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ই-কমার্স সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।”
এসময় তারা সাত দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে-
# ইভ্যালির সিইও মােহাম্মদ রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের মুক্তি দিতে হবে।
# রাসেলকে নজরদারির মাধ্যমে দিকনির্দেশনা দিয়ে ব্যবসায করার সুযােগ দিতে হবে।
# এসক্রো সিস্টেম চালু হওয়ার পূর্বে অর্ডারকৃত পণ্য ডেলিভারি দিতে রাসেল সময় চোয়েছেন। আমরা তাকে সময় দিয়ে সহযােগিতা করতে চাই।
# বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইক্যাব, পেমেন্ট গেটওয়ে, মার্চেন্ট এবং ভােক্তা প্রতিনিধিদের সমন্বয কমিটি গঠন করতে হবে।
# করােনাকালে বিভিন্ন খাতের মতাে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে প্রণােদনা দিতে হবে।
# ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলােকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ব্যাংক গ্যারান্টিসহ বাধ্যাতামূলক লাইসেন্স নিতে হবে।
# ই-কমার্স বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত, যেখানে হাজার হাজার উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে এবং লাখ লাখ কর্মসংস্থান হচ্ছে। এই সেক্টরকে সরকাীরভাবে সুরক্ষা দিতে হবে।