২৩৪ বছরের ইতিহাসে এমসিসি’র প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হলেন কনোর
ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা ‘মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)।’ ২৩৪ বছরের পুরনো যাদের ইতিহাস। দীর্ঘ এই সময়ে কখনই নারী নেতৃত্ব দেখা যায়নি এমসিসিতে।
সংস্থাটি অবশেষে নতুন দিগন্তে পা রাখতে চলেছে। এমসিসির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ক্লেয়ার কনোর। এর আগে এমসিসির প্রেসিডেন্ট ছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। এই অবৈতনিক পদের দায়িত্ব ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কনোর পেয়েছিলেন গত বছরই। তবে করোনা মহামারির কারণে সাঙ্গাকারার মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়।
আগামী এক বছরের জন্য এমসিসির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন কনোর। এক দশক ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন সাবেক স্পিনিং অলরাউন্ডার। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ১৬ টেস্ট ও ৯৩ ওয়ানডে। ২০০৫ সালে কনোরের অধীনে ৪২ বছর পর অ্যাশেজে ম্যাচ জয়ের স্বাদ পায় ইংল্যান্ড।
দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের মতো কনোরের সাংগঠনিক ক্যারিয়ারও লম্বা সময়ের। বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) নারী ক্রিকেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন। এ ছাড়া ২০১১ সাল থেকে আইসিসির মেয়েদের ক্রিকেট কমিটির প্রধান হিসেবে কাজ করে আসছেন, সাসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবেরও একজন পরিচালক তিনি।
২০১৯ সালে এমসিসির সাম্মানিক আজীবন সদস্য করা হয় কনোরকে। ২০১৪ সালে কনোর দায়িত্বে থাকার সময় ইসিবিতে মেয়েদের ক্রিকেটে কেন্দ্রীয় চুক্তির পদ্ধতি চালু হয়। ২০২০ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটেও মেয়েদের পেশাদার চুক্তি চালু করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন তিনি।
পেশাদার ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা দিয়ে নতুন দায়িত্বে সফল হতে চান কনোর। তিনি বলেন, ‘ড্রেসিংরুম ও বোর্ডরুমের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব, যাতে আগামী ১২ মাস ক্লাবের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তি ও কমিটিকে সহায়তা করতে পারি। এমসিসির এ দলের অংশ হওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি আমি।’