লাইফস্টাইল

চুলের যত্নে কন্ডিশনার ব্যবহারের কিছু নিয়ম

মাথার চুল উজ্জ্বল ও মসৃণ করে কন্ডিশনার। তবে কন্ডিশনার ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানা জরুরি। এমনিতে কন্ডিশনার ব্যবহার খুব সহজ মনে হলেও নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম না মানলে কাঙ্খিত ফলাফল মিলবে না।

চুলের গোড়ায় কন্ডিশনার ব্যবহার
কন্ডিশনার ব্যবহারের সবচেয়ে সাধারণ ভুল হল চুলের গোড়ায় ব্যবহার করা। শ্যাম্পু মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখে আর কন্ডিশনার চুলের আগার যত্ন নেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেলেব্রিটি হেয়ারস্টাইলিস্ট’ মাইকেল ক্লিভল্যান্ড ‘ওয়েল অ্যান্ড গুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “শ্যাম্পু করার মাধ্যমে মাথার ত্বকে থাকা চুলের প্রসাধনীর অবশিষ্টাংশ ও তেল দূর হয়। চুলের গোড়ায় কন্ডিশনার ব্যবহার করা হলে পুনরায় এসব মাথার ত্বকে জমাট বাঁধে। ফলে চুল মলিন, চিমসে লাগে দেখতে।” তাই কন্ডিশনার চুলের গোড়ায় নয় বরং আগায় ব্যবহার করতে হয়।

ভুল ভাবে ব্যবহার
কন্ডিশনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে কেবল কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে তা নয় বরং কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে সেটাও খেয়াল রাখা জরুরি।
চুলের প্রসাধণী ব্র্যান্ড ‘সাশাহুয়ান’য়ের পরিচালক ট্রে গিলেন বলেন, “কেবল হাতে কন্ডিশনার নিয়ে চুলে কোনো রকমে তা লাগালেই হয় না। চুলের জটযুক্ত, ক্ষতিগ্রস্ত ও বেশি চাপ পড়ে এমন অংশে ভালো মতো কন্ডিশনার প্রয়োগ করতে হবে।”

চুলে ভালো মতো কন্ডিশনার মাখতে প্রথমে কন্ডিশনার লাগিয়ে মোটা দাঁতের চিরুনি বা আঙুল দিয়ে জট ছাড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে। কন্ডিশনার ব্যবহারের পরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা উচিত।

ঠিকমত শোষিত না হওয়া
কন্ডিশনার ব্যবহারের পরে কেউ সঙ্গে সঙ্গেই তা ধুয়ে ফেলেন কেউ বা ২০ মিনিট অপেক্ষা করেন। চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করার পরে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হয় যেন তা চুলে শোষিত হয়। সঠিক উপায়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করা হলে চুলে লক্ষণীয় পার্থক্য দেখা দেখা দেয়।

অতিরিক্ত বা অল্প ব্যবহার
ক্লিভল্যান্ড বলেন, “চুল ধোয়ার পরে কেউ সামান্য কেউ বা প্রায় বেশি পরিমাণে কন্ডিশনার ব্যবহার করেন। চুল ধোয়ার পরে যদি তা ভারী মনে হয় তাহলে বুঝতে হবে পরিমাণে বেশি কন্ডিশনার ব্যবহার করা হয়েছে আর শুষ্ক মনে হলে বুঝতে হবে পরিমাণে কম ব্যবহার করা হয়েছে। ”

চুলে কন্ডিশনার ব্যবহারের আদর্শ মাপ হল দুই কয়েন পরিমাণ।
চুলে কন্ডিশনার মেখে আঙ্গুলের সাহায্যে আঁচড়ে নিন, এতে সব চুলে তা ছড়িয়ে যাবে। তবে যাদের চুল বেশি পাতলা ও সিল্কি তাদের প্রতিবার কন্ডিশনার ব্যবহার না করাই উচিত।

ভুল পণ্য ব্যবহার

বাজারে নানান ধরনের কন্ডিশনার পাওয়া যায় এর মধ্যে নিজের উপযুক্ত পণ্য বাছাই করা বেশ জটিল।
‘সিলিকন’ এবং ‘ডাইমেথিকোন’গুলো সাধারণত সস্তা কন্ডিশনারগুলোতে ব্যবহৃত হয়। এগুলো চুলকে চকচকে ও নরম করে এবং চুল দেখতে স্বাস্থ্যকর লাগে। তবে কৃত্রিম এই উপাদানগুলো চুলের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়”- বলে সতর্ক করেন ক্লিভল্যান্ড।

এর পরিবর্তে, প্রাকৃতিক তেল যেমন- জোজোবা, নারিকেল ও অর্গান তেল সমৃদ্ধ পণ্য ব্যবহার করা উপকারী। তবে অতিরিক্ত তেল সমৃদ্ধ উপাদান চুলকে ভারী ও নিস্তেজ করে ফেলে তাই ব্যবহারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 + thirteen =

Back to top button