সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চক্রান্ত করছেঃ বিএনপি
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, “গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্থ করতে এবং জনরোষে ভীত হয়ে ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আওয়ামী সরকার এখন আরো বেশী মাত্রায় অপকর্মে আশ্রয় নিয়ে পরিকল্পিতভাবে অরাজকতা সৃষ্টি করছে।”
সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সংগ্রামী সভাপতি ওয়াহিদুজ্জমান চঞ্চল’র ২৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এদের কোনো গণভিত্তি নেই বলেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিপজ্জনক নীলনকশা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপরই দমন-পীড়ণ চালিয়েই তারা ক্ষান্ত হচ্ছে না বরং নতুন নতুন হিংস্র ঘটনার সৃষ্টি করে দেশবাসীর মধ্যে বিভেদ-বিভাজনের ভয়াবহ খেলায় মেতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত করছে।
মঞ্জু বলেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের নীতি আওয়ামী লীগের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। কুমিল্লায় পূজামন্ডপের ঘটনার রেশ ধরে সারাদেশে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে, তা যে সরকারের ন্যক্কারজনক পরিকল্পিত নীল নকশা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হচ্ছে; সেটি আজ জনগণের কাছে স্পষ্ট। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছে, তাদের উপাসনালয় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
সাবেক সাংসদ মঞ্জু বলেন, দুর্গাপূজার প্রাক্কালে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ আশ্বাস দেওয়ার পরও কেন পবিত্র কোরআন অবমাননা, মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটলো। সরকারের মদদেই কুমিল্লায় পূজামন্ডপে চক্রান্তমূলক কুৎসিত কাজটি করা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা জরুরি পূজামন্ডপ ও মন্দিরগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাঠানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ করলেও প্রশাসনের সাড়া না দেওয়া তার প্রমাণ বহন করে।
তিনি বলেন, আজকের চলমান গনতান্ত্রিক আন্দোলনে চঞ্চলের মত সাহসী ত্যাগী সংগঠকের খুব প্রয়োজন ছিলো। মেধাবী ছাত্র, ছাত্র জীবনে পরীক্ষায় উজ্জ্বল ফলাফল ও কর্মীবান্ধব ছাত্র রাজনৈতিক ছিলেন শহীদ ছাত্রনেতা চঞ্চল।
বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান মুরাদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, আমীর এজাজ খান, শেখ ইকবাল হোসেন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, শেখ আব্দুর রশিদ, সিরাজুল হক নান্নু, আবু হোসেন বাবু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শেখ মুশাররফ হোসেন, রেহানা ঈসা, আব্দুর রকিব মল্লিক, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, মহিবুজ্জামান কচি, ইকবাল হোসেন খোকন, সাজ্জাদ হোসেন পরাগ, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, হাসানুর রশিদ মিরাজ, মিজানুর রহমান মিলটন, নাজমুস সাকিব পিন্টু, শামসুজ্জামান চঞ্চল প্রমুখ।