Lead Newsশিক্ষাঙ্গন

হিন্দুপল্লিতে হামলার জেরে কারমাইকেল কলেজের ছাত্রলীগ কমিটি বিলুপ্ত

রংপুরে সরকারি কারমাইকেল কলেজের ছাত্রলীগ নেতা সৈকত মণ্ডলের ধর্মীয় উস্কানির জেরে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার হিন্দুপল্লিতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার ঘটে। তার ওই ঘটনায় সম্পৃক্ততার কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রংপুর কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনার পর রোববার সরকারি কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে সংগঠনটির মহানগর কমিটি।

রোববার বিকালে রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শফিউর রহমান স্বাধীন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আসিফ হোসেনের যৌথ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এতে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় কমিটির বিলুপ্তের কথা বলা হয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার পীরগঞ্জের হিন্দুপল্লিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মূলহোতা হিসেবে সৈকত মণ্ডল ও রবিউল ইসলাম নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যা ব)।

সেদিনই ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সৈকত উস্কানি দিয়ে ও গুজব ছড়িয়ে হামলায় মদদ দেন। এরপরই সৈকত ছাত্রলীগ নেতা এ বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে দেশব্যাপী তুমুল সমালোচনা শুরু হয়।

সৈকত রংপুরের কারমাইকেল কলেজ দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ওই বিভাগ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তার বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের চেরাগপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের রাশেদুল মণ্ডলের ছেলে। আর রবিউল ইসলাম একই উপজেলার খেজমতপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিন বাবুর ছেলে ও বটেরহাট জামে মসজিদের ইমাম।

সৈকত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন কারমাইকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুজ্জামান সিজার। তিনি সৈকত কলেজ ছাত্রলীগের দর্শন বিভাগের সহ-সভাপতি পদে ছিল। তবে গত ১৮ অক্টোবর দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ধর্মীয় উস্কানির জেরে হিন্দুপল্লিতে হামলার ঘটনায় একজন ছাত্রলীগ নেতা জড়িত থাকায় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সাধারণ মানুষের মাঝে সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরে রংপুরের স্থানীয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতারা। পরে সমালোচনার মুখে রোববার বিকালে কারমাইকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে রংপুর মহানগর ছাত্রলীগ।

উল্লেখ্য, গত রোববার (১৭ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে ইসলাম নিয়ে অবমাননাকর একটি পোস্টের জেরে রংপুরের পীরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নের মাঝিপাড়া-বটতলা ও বড় করিমপুর গ্রামে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬৬টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × two =

Back to top button