বিচিত্র

আলোচনায় ‘লিটন ডিসকাউন্ট’!

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে এখনও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই জয়ের জন্য মরিয়া টাইগাররা। আর সমর্থন জোগাতে পিছিয়ে নেই দর্শকরা।

শারজাহর স্টেডিয়াম হয়ে ওঠে এক টুকরো বাংলাদেশ। কিন্তু বরাবর হতাশ হয়ে ফিরতে হয় ভক্ত-সমর্থকদের। একই অবস্থা বিরাজ করছে দেশের কোটি কোটি ক্রিকেট পাগল মানুষের মধ্যে।

টানা হারের কারণ খুঁজতে গিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে দেওয়া মন্তব্যের জেরে সমালোচিত হচ্ছেন সাকিব, মুশফিক ও রিয়াদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা। খেলোয়ার, সাবেক খেলোয়ার, কোচ, বিসিবি কর্মকর্তারা লিপ্ত হয়েছেন একে অন্যের দোষ খোঁজায়। এমনকি পরিস্থিতি গড়িয়েছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও। কিন্তু এতকিছুর পরেও একটি জয় চায় ভক্ত-সমর্থকরা।

আর তাইতো উৎসাহ দিতে কিংবা হতাশা কাটাতে টানা কয়েকে ম্যাচে রানখরায় ভোগা টাইগার ওপেনার লিটন দাসের রানের সংখ্যার সমপরিমাণ শতকরা হারে ডিসকাউন্ট ঘোষণা দেওয়া হয় ফেসবুকে।

টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াইয়ে শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এ ম্যাচ হারলেও দেশের সামাজিকমাধ্যমে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে লিটন দাসের রানের ওপর ডিসকাউন্টের নানান পণ্য বিক্রির অফার। এই তালিকায় রয়েছে পোশাক, খাবার, বই, ইলেকট্রনিক পণ্যসহ দৈনন্দিন জিনিসপত্র। ডিসকাউন্টের এই অফারকে বলা হচ্ছে ‘লিটন অফার’।

ম্যাচ শুরুর পূর্বে দেওয়া এসব অফারে ঘোষণায় বলা হয়েছিল, আজকের ম্যাচে লিটন দাস যত রান করবেন, তত পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট দেওয়া বিভিন্ন পণ্যে। কিন্তু আজ স্ট্রাইক রেট যাইহোক, ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেছেন লিটন। তার মানে ৪৪ শতাংশ ডিসকাউন্ট দিতে হবে গ্রাহকদেরকে; যা কিনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় চলা ডিসকাউন্টের থেকেও বহু বেশি।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রন্থিক ডটকম খেলা চলাকালে ঘোষণা দেয় ‘আজকের ম্যাচে লিটন দাস যত রান করবে, গ্রন্থিকের সব বইয়ে পাবেন তত পার্সেন্ট কমিশন।’ অফারটি ফেসবুকে রীতিমতো ভাইরাল হয়।

এই অফারের বিষয়ে গ্রন্থিকের কর্ণধার রাজ্জাক রুবেল বলেন, টানা হারের কারণে হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছিল দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। এদিকে দেশের অন্যতম প্রতিভাবান ব্যাটারদের অফ-ফর্মে থাকা নিয়েও তো কম সমালোচনা চলছে না, সব মিলিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মন চাঙা করতেই এই অফার।

লিটন সেঞ্চুরি করে ফেললে কী করতেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সে ক্ষেত্রে সবাইকে বিনামূল্যে পণ্য দেওয়া লাগত। তাতে হয়তো ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা হতো না। তবে বাংলাদেশ ভালো খেললে তো একদিনের জন্য এটাই করাই যায়, যদিও একটু কঠিন সিদ্ধান্ত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 + fifteen =

Back to top button