ধর্ম ও জীবন

রাসুলুল্লাহ সাঃ যেভাবে ঋণ মুক্তির দোয়া করতেন!

প্রয়োজনে মানুষ একে অপরের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। কিন্তু কঠিন সত্য হলো- ঋণ মানুষকে মিথ্যা ও ওয়াদা ভঙ্গের দিকে ধাবিত করে। ঋণ থেকে মুক্তির কথাটি সাধারণ কোনো বিষয় নয়; বরং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং ঋণ থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করতেন। তিনি নামাজে ঋণ থেকে মুক্তির জন্য এভাবে দোয়া করতেন-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল মাঅছামি ওয়াল মাগরামি।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে গুনাহ এবং ঋণ থেকে আশ্রয় (মুক্তি) চাই।’

এ ছাড়াও ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির ভয়াবহ বিপদের কথাও তিনি একাধিক হাদিসে তুলে ধরেছেন-

১. হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজে এই বলে দোয়া করতেন-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল মাঅছামি ওয়াল মাগরামি।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে গুনাহ এবং ঋণ থেকে আশ্রয় (মুক্তি) চাই।’

(সাহাবাদের মধ্য থেকে) একজন জিজ্ঞাসা করলো- (হে আল্লাহর রাসুল)! আপনি ঋণ থেকে এত বেশি বেশি পানাহ (মুক্তি) চান কেন?

তিনি জানালেন, মানুষ ঋণগ্রস্ত হলে, যখন কথা বলে (তখন) মিথ্যা বলে এবং ওয়াদা করলে তা খেলাফ করে।’ (বুখারি)

ঋণগ্রস্ত ওইসব ব্যক্তির জন্য আরও বিপদ যারা ঋণ রেখে মারা যায়। কারণ মৃত্যুর পর ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির সম্পদের মালিকানা আর মৃতব্যক্তির থাকে না। কিন্তু ঋণের দায় থেকে যায়। হাদিসে এসেছে-

২. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মাল (সম্পদ) রেখে (মারা) গেল; তা তার ওয়ারিশদের। আর যে দায়-দায়িত্বের বোঝা (ঋণ) রেখে গেল; তা আমার যিম্মায়।’ (বুখারি)

হাদিসের আলোকে বলা যায়, যদি ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির ওয়ারিসরা তাদের অভিভাবকের রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে ঋণ পরিশোধ না করে তবে ঋণের বোঝা ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির উপরই থেকে যায়।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণে নামাজে দ্রুত ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া করা। ঋণ পরিশোধের নিয়তে সর্বোচ্চ চেষ্টার পাশাপাশি হাদিসে ঘোষিত ছোট্ট দোয়ার মাধ্যমে ঋণ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে ঋণ থেকে মুক্ত হওয়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। ঋণের কারণে মিথ্যা বলা ও ওয়াদা ভঙ্গ করার মতো অপরাধ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 + 4 =

Back to top button