আত্মতুষ্টিতে ভোগা ইন্ডিয়ান টিমের দর্পচূর্ণ!
পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরাজিত হয়ে তারাই কিনা এখন টুর্নামেন্টে থেকে শূন্য হাতে বিদায় নেয়ার পথে।এলাম, দেখলাম, জয় করলাম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে ভারতীয় দলের হাবভাব অনেকটা এমনই ছিল। আত্মতুষ্টিতে ভোগা কোহলির ভারত এখন অবস্থান করছে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে। একে অন্যকে দোষারোপ করে তারা এ ক্ষতে প্রলেপ দিতে চাইছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের নামের পাশে বড় ভাইয়ের তকমা লেগেছে বেশ আগেই। ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি প্রভাবশালী বোর্ড, বিজ্ঞাপনের বিশাল বাজার, আইপিএলের হাতছানি, সব মিলিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড-বিসিসিআই দিনকে দিন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে।
বিসিসিআইয়ের চাপে আন্তর্জাতিক ম্যাচ সিডিউল, এমনকি ভেন্যুও পরিবর্তনের খবরও প্রকাশ পেয়েছে। আইসিসিকে এ বিষয়ে তেমন একটা প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। এ নিয়ে কোনো ক্রিকেটারকেও কথা বলতে দেখা যায়নি।
আইপিএল চলাকালীন কোনো দেশের জাতীয় দলের খেলা যাতে না থাকে সেজন্য বিসিসিআইকে সরব থাকতে দেখা গেছে। কিছুদিন আগে পাকিস্তান অধিকৃত আজাদ কাশ্মিরে অনুষ্ঠিত হওয়া কাশ্মির প্রিমিয়ার লিগ যাতে অনুষ্ঠিত হতে না পারে সে জন্য যথেষ্ট চেষ্টা চালিয়েছে বিসিসিআই। এজন্য আইসিসির শরণাপন্নও হয়েছে। যদিও শেষ পর্যন্ত তারা সফল হয়নি।
তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সে টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া থেকে বিরত রাখতে পেরেছে। বিসিসিআই ঘোষণা দেয়, যেসব ক্রিকেটার এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে, তারা আইপিএলের কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না। অভিযোগ আছে, আইপিএলের জন্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শেষ না করে ভারতীয় দল চলে এসেছে।
দীর্ঘদিন চলতে থাকা এসবের ধারাবাহিকতায় ভারতীয় বোর্ড এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে জন্ম নিয়েছে অহমিকা, আত্মতুষ্টির। আইপিএল খেলা মানেই প্রতিভার বিকাশ, এমন ধারণা খেলোয়াড়দের মধ্যে বিরাজ করায় দীর্ঘমেয়াদে তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে অনেকের জন্য।
বলা হচ্ছে, আইপিএলের কারণেই খেলোয়াড়দের জাতীয়তাবোধের দায়িত্ব বা মানসিক প্রেরণা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে দেশে-বিদেশে টানা সিরিজ ভারতীয় ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে পুরোপুরি ক্লান্ত করে দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মাঠে নিজেকে সম্পূর্ণ উজাড় করে দিতে পারছেন না খেলোয়াড়রা।
চাপের মুখে থাকা খেলোয়াড়রা ইতোমধ্যেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন। কিন্তু পরিস্থিতি বলছে, অনেক দেরি হয়ে গেছে।