Lead Newsঅপরাধ ও দূর্ঘটনা

নৌকায় ভোট না দেয়ার কারণে ‘জুতোপেটা’!

সদ্য সমাপ্ত বগুড়ার সোনাতলা পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হোসেন আলী নামক এক ব্যক্তিকে জুতোপেটার করা হয়েছে। নৌকা মার্কায় ভোট না দেয়ার অভিযোগে হোসেন আলীকে জুতোপেটা করেন আইনুর নাহার। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নবনির্বাচিত মেয়রসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সোনাতলা পৌর এলাকার মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নবনির্বাচিত পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নান্নুর কর্মী হোসেন আলী বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় নৌকা মার্কায় ভোট না দেয়ায় হোসেনের সাথে তর্কে লিপ্ত হন সেখানকার আইনুর নাহার নামে এক নারী পান দোকানি। এমন সময় সেখান দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তাদেরকে দেখে নারী দোকানি হোসেন আলীকে ‘জুতাপেটা’ শুরু করেন।

এ খবর পেয়ে মেয়র নান্নু তার কর্মীদের নিয়ে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে যান। পরে মেয়রের লোকজন উপজেলা চেয়ারম্যানকে ছুরিকাঘাত ও মারপিট করে। এ ঘটনার খবর পেয়ে দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তখন লিটনের কর্মীরা মেয়রসহ তার কর্মীদের মারপিট করেন।

এ খবরে মেয়রের শত শত নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে মাইক্রোবাস যেতে থাকলে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। এরমধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ চারজন ছুরিকাহত হয়েছেন।

ছুরিকাহত চেয়ারম্যান ছাড়া অপর তিনজন হলেন- পৌর যুবলীগের সভাপতি নাহিদ হাসান জিতু, সাধারণ সম্পাদক উৎপল চন্দ্র ও উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মোমিনুল ইসলাম সোহেল।

এ ছাড়া সংঘর্ষে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নান্নু, তার কর্মী হিরা, হোসেন আলীসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।আহতদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যানকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পুনরায় নির্বাচিত পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নান্নু বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য থাকা অবস্থায় দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে মেয়র নির্বাচিত হন। ভোটের আগের দিন ১ নভেম্বর তাকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এর আগের নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়ে নান্নু বিজয়ী হন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 + ten =

Back to top button