আলাবা দেখালেন রিয়াল-বায়ার্নের পার্থক্য
বায়ার্ন মিউনিখে কাটিয়েছেন এক যুগেরও বেশি সময়। বাভারিয়ানদের জার্সিতে সফল একটা অধ্যায় শেষ করে ডেভিড আলাবা এই মৌসুমে যোগ দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদে। এখানে আসার পর দুই ক্লাবের সাদৃশ্য এবং পার্থক্য খুঁজে বের করেছেন অস্ট্রিয়ান সব্যসাচী ফুটবলার।
আলাবার মতে, বায়ার্ন মিউনিখ এবং রিয়াল মাদ্রিদ প্রায় সমশক্তির। তবে কিছুটা এগিয়ে রাখলেন রিয়ালকে। আলাবা বলেছেন, ‘বায়ার্ন মিউনিখ বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাব। প্রায় রিয়াল মাদ্রিদের মতো। দুটি ক্লাবই সফল। বায়ার্নের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, রিয়াল মাদ্রিদ কিছুটা এগিয়ে থাকবে।’
এগিয়ে থাকার সম্ভাব্য কারণ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল রিয়াল মাদ্রিদ। ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় ক্লাব টুর্নামেন্টে ১৩ বার ট্রফি জিতেছে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। দ্বিতীয় সফল দল এসি মিলান সাতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। লিভারপুলের সমান ছয়টি ট্রফি নিয়ে তিনে আছে বায়ার্ন মিউনিখ।
এবারো শিরোপা দৌড়ে ফেভারিটের কাতারে আছে বাভারিয়ানরা। বায়ার্ন ছাড়াও টুর্নামেন্টে রিয়াল মাদ্রিদকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি), ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবা চেলসি। বরাবরের মতো এই মৌসুমেও সবার লক্ষ্যবস্তু রিয়াল মাদ্রিদ।
বাস্তবতা মানছেন আলাবা। তার মতে, আসরের ফেভারিট কয়েকটা দল। আলাবা বলেছেন, ‘বায়ার্ন মিউনিখের অবশ্যই একটা সুযোগ আছে। লিভারপুল শক্তিশালী। চেলসি এবং পিএসজিও ফেভারিট। ম্যানচেস্টার সিটির এটা জয়ের সামর্থ্য আছে। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে হলে অনেক দূর যেতে হবে। সবেমাত্র গ্রুপপর্ব চলছে।’
জার্মান প্রচারমাধ্যম বিল্ডের দাবি, আলাবার রিয়াল মাদ্রিদে আসার নেপথ্য নায়ক টনি ক্রুস। জার্মান এই প্লে-মেকারও একসময় বায়ার্ন মিউনিখে খেলেছেন। আলাবা ছিলেন তার সতীর্থ। এই মৌসুমে তার পদাঙ্ক অনুকরণ করে অস্ট্রিয়ান সেনসেশন নাম লেখান রিয়াল মাদ্রিদে। রামোস চলে যাওয়ায় ক্লাবের রক্ষণের মূল দায়িত্ব এখন তার কাঁধে।
ইতোমধ্যে আলাবার ওপর আস্থা চলে এসেছে ক্লাব সমর্থক এবং কোচ কার্লো আনচেলত্তির। নতুন ঠিকানায় দ্রুতই মানিয়ে নিতে পারায় ক্রুসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আলাবা। বলেছেন, ‘সে (ক্রুস) আমাকে অনেক সহায়তা করেছে। ব্যক্তিগতভাবেও। তার স্ত্রী-ও আমার বান্ধবীকে অনেক সাহায্য করেছেন।’