স্কটল্যান্ডের সাথে লজ্জার হার দিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়েছিলো, ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিশাল হারের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশের এবারের বিশ্বকাপ মিশন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান সপ্তম আসরে চরম ব্যর্থ বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের মূলপর্বে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ দল।
আজ বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমেও বিপদে বাংলাদেশ দল। সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারানো দলটি অসিদের বিপক্ষে ৬.১ ওভারে ৩৩ রানে বাংলাদেশ হারায় ৫ উইকেট। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে ১৫ ওভারে ৭৩ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ।
মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউডের গতির পর বাংলাদেশ শিবিরে আঘাত হানেন স্পিনার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও অ্যাডাম জাম্পা। স্টার্কের গতির শিকার হন ওপেনার লিটন দাস ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
হ্যাজলউডের গতির শিকার হন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা সৌম্য সরকার। অফ স্পিনার ম্যাকওয়েলের বলে এলবিডব্লিউ হন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নামা পাঁচ ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন, শামিম হোসেন, মেহেদি হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুলকে উইকেটে থিতু হতে দেননি লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে ১৫ ওভারে ৭৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ দল।
প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। ইনিংসের তৃতীয় বলেই মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। দলীয় ১ রানে ফেরেন এ ওপেনার। এরপর দ্বিতীয় ওভারে জশ হ্যাজলউডের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। ৮ বলে ৫ রান করে ফেরেন তিনি।
২.৫ ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের স্পিনে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকু রহিম। ২ বলে ১ রানে আউট হন মুশফিক।
দলীয় ৩২ রানে হ্যাজলউডের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ। অ্যাডাম জাম্পার লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন আফিফ হোসেন।
৩৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া দলকে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ষষ্ঠ উইকেটে রিয়াদের সঙ্গে ২৮ বলে ২৯ রানের জুটি গড়ে ফেরেন শামিম হোসেন। তার বিদায়ে ১০.৫ ওভারে ৬২ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
১৮ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ১৯ রান করে আউট হন শামিম। আট নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমেই এলবিডব্লিউ হন মেহেদি হাসান। পরপর দুই বলে শামিম ও মেহেদিকে আউট করেন অ্যাডাম জাম্পা।
১২.২ ওভারে দলীয় ৬৫ রানে মিচেল স্টার্কের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৮ বলে দুটি বাউন্ডারিতে ১৯ রান করেন তিনি।
অ্যাডাম জাম্পার বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মোস্তাফিজ। তিনি আউট হন ৯ বলে ৪ রান করে। শরিফুলকে রানের খাতা খোলার সুযোগ দেননি জাম্পা।
ব্যাটারদের অসহায় আত্মসমর্পণের পর ‘কানের কাছ দিয়ে গুলি গেছে’। লজ্জার রেকর্ডের খাতা নতুন করে খুলতে হয়নি। ২০১৬ বিশ্বকাপে কিউইদের বিপক্ষে ৭০ রানই হয়ে থাকলো সর্বনিম্ন স্কোরের রেকর্ড। এ নিয়ে দশমবারের মতো ১০০’র নিচে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।