হলের নানান অব্যবস্থাপনায় ধর্মঘটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা
হলের ডাইনিংয়ে বাধ্যতামূলক খাওয়া ও সান্ধ্য আইন বাতিলের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তাপসী রাবেয়া হলের ছাত্রীরা।
শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে হলের সামনে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন তারা। রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ছাত্রীরা সেখানে অবস্থান করেন। পরে প্রাধ্যক্ষ ফেরদৌসী মহল এসে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে অবস্থান তুলে নেন ছাত্রীরা।
আন্দোলনরত ছাত্রীরা জানান, হল প্রশাসন সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাদেরকে ডাইনিংয়ে খেতে বাধ্য করেছে। অন্যথায় তাদের সিট বাতিল করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে এ বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে আলোচনায় বসেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ফেরদৌসী মহাল। তবে সিদ্ধান্তে না এসেই আলোচনা থেকে চলে যান তিনি।
ছাত্রীদের অভিযোগ, ডাইনিংয়ে দাম বেশি নিয়েও মানসম্মত খাবার পরিবেশন করা হয় না। হলের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন, হল প্রাধ্যক্ষ গত মাসে নোটিশ দিয়ে জানান, মেয়েদের ডাইনিংয়ে খেতে হবে, অন্যথায় সিট বাতিল করা হবে। কিছুদিনের মধ্যে খাবারের দাম কমানো হবে বলা হয়েছিল, কিন্তু দাম কমানো হয়নি। খাবারের মানও খারাপ। তাই আমরা আন্দোলন করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ ফেরদৌসী মহল বলেন, ‘দীর্ঘদিন হল বন্ধ থাকায় বিদ্যুতের লাইনসহ অনেক কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। তার ওপর গণরুমের পাশে ৪০ জনের রান্নার ব্যবস্থা আছে। অথচ সেখানে ১৪০ জন ছাত্রী রান্না করছে। এ অবস্থায় রান্না করতে গিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এই আশঙ্কা থেকে এমন নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
হল ডাইনিংয়ে খাওয়ার বাধ্যবাধকতা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ডাইনিংয়ে খাবার মানসম্মত ও দাম কম। আমি নিজেই খেয়ে দেখেছি। এছাড়া তারা যদি রান্না করতে গিয়ে কোনো দুর্ঘটনার শিকার হয় তার দায় কে নিবে?
তিনি আরো বলেন, ‘আর যারা ব্লকে থাকে তাদের জন্য রান্নাঘরের ব্যবস্থা আছে, তারা সেখানে রান্না করে খেতে পারছে।’