লিওনেল মেসির অনুপস্থিতিতে আলো ছড়ালেন আক্রমণভাগের অন্য দুই তারকা নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপে। বোর্দোকে হারিয়ে লিগ ওয়ানের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল পিএসজি।
প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার রাতে লিগ ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। প্রথমার্ধে জোড়া গোল করেন নেইমার। তার দুই গোলেই অবদান রাখা এমবাপে বাড়ান ব্যবধান। শেষ দিকে দুটি গোল শোধ করে বোর্দো।
ম্যাচে গোলের উদ্দেশ্যে ৯টি শট নেয় পিএসজি, যার পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। আর বোর্দোর ১৮টি শটের ছয়টি লক্ষ্যে ছিল। পেশির চোটে এই ম্যাচে ছিলেন না আর্জেন্টাইন তারকা মেসি। ছিলেন না তার জাতীয় দল সতীর্থ আনহেল দি মারিয়াও।
শুরু থেকে বল দখলে পিএসজি এগিয়ে থাকলেও পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কোনো দলই।
২৬তম মিনিটে লক্ষ্যে ম্যাচের প্রথম শটে এগিয়ে যায় পিএসজি। এমবাপের ক্রস ডি-বক্সে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জায়গা বানিয়ে ডান পায়ের শটে দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে বল জালে পাঠান নেইমার।
৩৬তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পায় সফরকারীরা। কাছ থেকে ইউলিয়ান ড্রাক্সলারের শট গোলরক্ষক ঠেকানোর পর পেয়ে যান এমবাপে। তবে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি তিনি।
৪৩তম মিনিটে আরেকটি দারুণ ফিনিশিংয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। ডি-বক্সে এমবাপেকে পাস দিয়ে এগিয়ে যান তিনি। ফরাসি ফরোয়ার্ডের ব্যাকহিল ফ্লিকে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
গত ৩১ জানুয়ারির পর এই প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করলেন নেইমার। এবারের লিগে আট ম্যাচে তার গোল হলো তিনটি।
বিরতির আগে বোর্দোর তিমোথি পেম্বেলের প্রচেষ্টা দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে জাল অক্ষত রাখেন কেইলর নাভাস।
৬৩তম মিনিটে স্কোরলাইন হয় ৩-০। মাঝমাঠের কাছাকাছি থেকে আন্দের এররেরার থ্রু বল ধরে গোলরক্ষককে এগিয়ে আসতে দেখে পাশে থাকা এমবাপেকে পাস দেন জর্জিনিয়ো ভেইনালডাম। ফাঁকা জালে বল পাঠান বিশ্বকাপ জয়ী তারকা।
৭৮তম মিনিটে ব্যবধান কমায় স্বাগতিকরা। বাঁ দিক থেকে ইয়াসিন আদলির নিচু ক্রসে ছুটে গিয়ে ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে জাল খুঁজে নেন এলিস। আর যোগ করা সময়ে তাদের পরের গোলটি করেন এমবায়ে নিয়াং।
১৩ ম্যাচে ১১ জয় ও এক ড্রয়ে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। সমান ম্যাচে ১০ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে লঁস। ২৩ পয়েন্ট নিয়ে নিস তিনে, তাদের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম নিয়ে মার্সেই চারে আছে। দুই দলই একটি করে ম্যাচ কম খেলে।