প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ঘরে ঘরে পাড়া মহল্লায় পাহারা দিয়ে নির্বাচনী সহিংসতা ঠেকানো সম্ভব নয়।
বুধবার বিকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা, সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনার প্রেক্ষাপটে সিইসির এমন বক্তব্য এল।
নরসিংদীসহ কয়েকটি ঘটনার সংঘাতের প্রসঙ্গ টেনে নূরুল হুদা বলেন, “এ জাতীয় ঘটনা এভাবে পাহারা দিয়ে ঠেকানো যায় না, বাস্তবতা হলো এটা।
“ঘরে ঘরে মহল্লায় মহল্লায় পুলিশ দিয়ে পাহারা দিয়ে এ জাতীয় অপ্রীতিকর ঘটনা থামানো যায় না। এর একমাত্র উপায় হলো নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সহনশীলতা। নির্বাচনসুলভ আচরণ করতে হবে।“
চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকের এ নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় ‘অস্বস্তি’ ও ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করে এর আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেয় ইসি।
এ ধাপে বৃহস্পতিবার ৮৩৫ ইউনিয়ন পরিষদে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ধাপের ভোটের প্রস্তুতি গুছিয়ে আনার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার সিইসি বলেন, “সহিংসতার দায় এককভাবে কাউকে দেওয়া যাবে না। নির্বাচনী সহিংসতা থামাতে দরকার সহনশীলতা। এ জন্য রাজনৈতিক দল প্রার্থী সমর্থক সবার সহযোগিতা দরকার।”স্থানীয় নির্বাচনে উত্তেজনা প্রতিদ্বন্দ্বীতার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবারের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সিইসি। তিনি জানান, নির্বাচনী সহিংসতা দমন করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন ভবনে ব্রিফিংয়ের সময় নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও কবিতা খানম উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ৪ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন-পূর্ব সহিংস ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রয়োজনে প্রার্থিতা বাতিলের মত পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সিইসি।
চতুর্থ ধাপে ৮৪০ ইউপির ভোট ২৩ ডিসেম্বর