নিষেধাজ্ঞা তুলে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রকে বিনিয়োগের আহ্বান তালেবানের
তালেবান কর্তৃপক্ষ আফগানিস্তানের সরকারের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে দেশটিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে।
আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল কাহার বালখি মার্কিন সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানান। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক গণমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
তালেবান সরকার মার্কিন প্রশাসনসহ বিশ্বের সব সরকারের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিরাজ করতে থাকলে আফগান সরকার এবং জনগণ সমস্যার মুখে পড়বে। বিষয়টি ব্যাপক অভিবাসনের কারণ হয়ে উঠবে, যা বিশ্বের জন্য আরো মানবিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা তৈরি করবে।
এই পরিস্থিতি ঠেকাতে বালখি মার্কিন সরকারের প্রতি আফগানিস্তানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির মানবিক সঙ্কট ঠেকাতে আটকে রাখা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছেড়ে দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
বালখি বলেন, ২০০১-এর পরের দুই দশকের যুদ্ধ মার্কিন ও আফগান জনগণের সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক ছায়া ফেলেছিল। সৌভাগ্যবশত, দ্বিপাক্ষিক দোহা চুক্তির মাধ্যমে এই দীর্ঘ যুদ্ধের সমাপ্তি নিশ্চিত করা হয়েছে।
তালেবান মুখপাত্র দাবি করেন, আফগানিস্তানে এখন প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের সবকিছুই বিদ্যমান রয়েছে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের উৎপাদন, কৃষি এবং খনি খাতেও বিনিয়োগ করতে পারে।
বিষয়টিকে দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্কের জন্য দুর্দান্ত সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও চাপে রাখার মতো বিষয়গুলো কখনো আমাদের সম্পর্কের উন্নতি করতে পারে না। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং আমেরিকার উদ্বেগ বুঝতে পারি। আস্থা তৈরির জন্য উভয় পক্ষের ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
বালখি বলেন, দোহা চুক্তি সত্ত্বেও আফগানিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, আফগানিস্তানের সম্পদ জব্দ করা হয়েছিল। এ বিষয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করেন।