সামরিক প্রয়োজনের খাতিরে তুরস্কের সাথে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র
পেন্টাগনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, ন্যাটোর সমর্থনে তুরস্কের সামরিক উন্নতি প্রয়োজন। গতকাল বুধবার তুর্কি ও আমেরিকান প্রতিরক্ষা প্রতিনিধিরা ওযাশিংটনে এক বৈঠকে মিলিত হন।
আঙ্কারাকে এফ-৩৫ জয়েন্ট স্ট্রাইক ফাইটার প্রোগ্রাম থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হল।
মার্কিন ও তুরস্কের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠকে বিস্তৃত পরিসরে কার্যকরী এবং আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে সন্ত্রাসবাদকে পরাস্ত করা এবং আফগানিস্তান, আফ্রিকা, দক্ষিণ ককেশাস, পূর্ব ভূমধ্যসাগর ও মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়। পেন্টাগনের মতে, আঙ্কারায় এ ব্যাপারে একটি ফলোআপ বৈঠকও হয়েছে। তাতে উভয়পক্ষই বৈঠকের ব্যাপারে একমত পোষণা করেন।
আমেরিকান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি লরা কুপার। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, টিএএফ (তুর্কি সশস্ত্র বাহিনী) এর সামরিক আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুলুসি আকরের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে মার্কিন ও তুর্কি প্রতিনিধিদল ঠিক হয়েছিল। পেন্টাগনে মার্কিন-তুরস্কের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিরক্ষা গ্রুপের সংলাপ সেশনের সময় কৃষ্ণ সাগরে সহযোগিতার বিষয়টিতে গুরুত্বারোপ করেন লরা কুপার।
খবরে বলা হয়, এফ-৩৫ জয়েন্ট স্ট্রাইক ফাইটার প্রোগ্রাম থেকে তুরস্কের অপসারণের পর আঙ্কারা জেটগুলোর জন্য ১.৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছিল। কিন্তু ওয়াশিংটন এফ-৩৫ ফাইটার জেটের পরিবর্তে নতুন এফ-১৬ ফাইটার জেট কেনার প্রস্তাব দেয়।
২০১৯ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এফ-৩৫ প্রোগ্রাম থেকে তুরস্ককে সরিয়ে দেয়। আঙ্কারা উন্নত রাশিয়ান বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনার পর যুক্তরাষ্ট্র ওই সিদ্ধান্ত নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা ছিল, তুরস্কের কাছ থেকে রাশিয়া এফ-৩৫ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি পেয়ে যেতে পারে।
আঙ্কারা অবশ্য এস-৪০০ সিস্টেমের ব্যাপারে নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রেখেছে। এটিকে তুরস্ক ন্যাটো সিস্টেমের সাথে একীভূত করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে।
সূত্রঃ টিআরটি ওয়ার্ল্ড