বাংলাদেশের কিয়ামত খুব তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে আসছেঃ গয়েশ্বর
বাংলাদেশের কিয়ামত খুব তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ জাতীয় দলের উদ্যোগে এই সরকারের পতন ও বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, আমরা বিএনপির নেতাকর্মীরাও জানি না প্রকৃত অর্থে ম্যাডামের চিকিৎসার বিষয়টা কি? কিন্তু আমি হলফ করে বলতে পারি শেখ হাসিনা সেটা জানেন। কারণ তিনি ক্লোজ মনিটরিং করছে। উনি মিনিট ঘন্টা গুনছেন, কখন দুর্ঘটনাটা ঘটবে। যে দুর্ঘটনার পর উনি ভাবছেন সকল বাধা মুক্ত হয়ে যাবেন। তিনি যদি একটু গভীরভাবে চিন্তা করতে পারতেন তাহলে বুঝতে পারতেন । এই দুর্ঘটনার সংবাদ যখন জনগণের মনে আসবে তখন দেশে যে আরেকটা দুর্ঘটনা ঘটবে। তার ভাবনাটা তিনি যদি না ভাবেন তাহলে বুঝতে হবে বাংলাদেশের কিয়ামত খুব কাছাকাছি। র্যাব পুলিশ আর কোন বড় শক্তি ব্যাপার না।
আওয়ামী লীগ এর প্রত্যেক নেতারাও মনে মনে বেগম জিয়ার চিকিৎসার জন্য মুক্তি চান মন্তব্য করে তিনি বলেন, গোপনে করলে এদেশের ৯৯.৯৯% জনগন এই মূহুর্তে বেগম জিয়ার মুক্তি এবং সুচিকিৎসা চায়। শুধু মাত্র ১% তাকে (শেখ হাসিনাক) খুশি করার জন্য, সভ্যতার ধার ধারে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আবেগের জায়গাগুলো এক, লক্ষ্য অর্জন এর উদ্দেশ্য এক। আমরা কেউ কেউ বেশি ধৈর্যশীল। আবার কারো ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে, আর কত। কিন্ত সকলের উদ্দেশ্য একটাই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটের তোয়াক্কা করে না, আদালতের তোয়াক্কা করে না। তিনি যা চান তাই হয়, এইটার নাম বাংলাদেশ। এবং এদেশে একজন ব্যক্তি আছে তার নাম শেখ হাসিনা। তিনি যা ইচ্ছে তাই করে পার পাচ্ছেন। এর পিছনে কি কোন শক্তি নাই? সেই শক্তি কি চায় সেইটাও আমাদের বোঝার বিষয় আছে।
গয়েশ্বর বলেন, আপনারা আমাদের দিকে প্রশ্নের তীর ছুড়ছেন, আমরা বুঝি। প্রশ্ন না করলেও আমাদের মনে প্রশ্ন আসে। কোন দুর্ঘটনার দুঃসংবাদ যদি আসে। শেখ হাসিনা এবং তার দলবল, এমনকি আমরা জনরোষানলে পড়বো। আমরাও সাধারণ মানুষের কাছে তিরস্কৃত হবো।
খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে সবাই যে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এই শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই বেআইনি সরকারের আইন ফলো করার দরকার নাই। তারপরও বলছি, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার বিষয়টা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে, আন্দোলনকে গতিশীল করা যখন আঘাত করা দরকার তখন আঘাত করে সরকের পতন ঘটাবো।
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আহসানুল হুদার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন─ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।