সোলেইমানির অভাব কি পূরণ হবে?
মার্কিনিদের গুপ্তহত্যার শিকার আল-কুদস ফোর্সের প্রধান ও বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ার পর তার শূন্যস্থান কখনো পূরণ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে ইরানিরা।
দেশটির সাধারণ মানুষ মনে করেন, সোলেইমানির মত দৃঢ়চেতা কমান্ডার ফের তৈরি হওয়া কঠিন, যিনি স্বল্প সময়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন।
তবে সোলেইমানির শূন্যস্থান পূরণ হবে না— এমন কথা মানতে নারাজ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ মারান্দি। তিনি মনে করেন সোলেইমানির স্থলাভিষিক্ত হওয়া ইসমাইল কিয়ানিই তার শূন্যতা পূরণ করবেন।
উল্লেখ্য, আল-কুদস বাহিনীর প্রধান কাসেম সোলেইমানির স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কিয়ানিকে। যিনি একজন অভিজ্ঞ কমান্ডার। নিয়োগ দেয়ার সময় বিপ্লবী গার্ডসে ৬২ বছর বয়সী এই জেনারেলের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে।-খবর বিবিসি বাংলার
তার প্রশংসায় অধ্যাপক মারান্দি বলেন, সোলেইমানির যোগ্য সহযোগীদের নিয়ে তিনি নতুন চিন্তা ও নতুন নির্দেশনা নিয়ে সফলভাবে কাজ করবেন।
তিনি বলেন, জেনারেল সোলেইমানির একজন আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারি ছিলেন। তার স্থলে যিনি এসেছেন, তিনিও অভিজ্ঞ। তাছাড়া ইরান কোন একক ব্যক্তিত্বের ওপর নির্ভরশীল নয়। তাই জেনারেল সোলেইমানির স্থান পূরণ হবে না; বিষয়টি এমন নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে মারান্দি বলেন, আমি মনে করি আমেরিকা বোকার মতো কাজ করেছে। এটা ছিল যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। এতে ইরান আরও ক্ষুব্ধ হয়েছে, ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মোকাবিলা করতে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছে।
এছাড়া একজন ইরাকি কমান্ডারও নিহত হওয়ায়, ইরাক ও ইরান উভয় দেশের বিরুদ্ধেই যুক্তরাষ্ট্র এক প্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ জানতে চাইলে এই অধ্যাপক বলেন, তিনি (ট্রাম্প) তো নিজেই যুদ্ধে নেমে পড়লেন। আমার মনে হয় না, ইরানের কেউই ট্রাম্পকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়। বরং এই হামলা, আমেরিকার বিরুদ্ধে দুই দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে– যা তাদেরই ক্ষতি করবে।
অধ্যাপক মারান্দি বলেন, ইরানিরা পরিশীলিত জাতি, আমেরিকানদের মতো অমার্জিত ও পাশবিক নয়।
তিনি জানান, ইরানিরা রাজনীতি করে দাবা খেলোয়াড়ের মত। তারা হিসেব করে, অনেক চিন্তা ভাবনা করে এমন কিছু করবে যাতে আমেরিকানরা নিজেদের কৃতকর্মের জন্য অনুতাপ করে, সূত্র যুগান্তর।
আরও সংবাদঃ আন্তর্জাতিক ও ইরান
Tag: Bangladesh 24 news, Bangladesh 24 news