সম্প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা ডা. মুরাদ হাসান দেশত্যাগের পর কানাডায় ঢোকার চেষ্টা করলেও ঢুকতে পারেননি বলে জানা গেছে। উত্তর আমেরিকার ঐ দেশটি থেকে একটি বাংলা সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে। এছাড়া কানাডার বেশ কয়েকটি সূত্রও এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ডাঃ মুরাদকে কানাডায় ঢুকতে দেয়নি দেশটির বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি (সিবিএসএ)। টরন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এতে আরও বলা হয়, কানাডায় বসবাসরত মুরাদের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে, তবে কানাডার সরকারি সূত্র থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সিবিএসএর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডা. মুরাদ শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় টরেন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় তাকে জানানো হয়, তার সেদেশে ঢোকা নিয়ে অনেক কানাডিয়ান নাগরিক আপত্তি তুলেছে। তারপর তাকে ফেরত পাঠানো হয়। পরে মধ্যপ্রাচ্যের একটি বিমানে তাকে তুলে দেওয়া হয়। মুরাদ গত ৭ ডিসেম্বর প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ৯ ডিসেম্বর রাতে কানাডার উদ্দেশ্য তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্টে ঢাকা ত্যাগ করেন।
প্রসঙ্গত, নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও কয়েকটি অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন সাম্প্রতিক নানা মন্তব্যে আলোচিত সমালোচিত ডা. মুরাদ।