Lead Newsনগরজীবন

সিটি করপোরেশনের আয়তন-জনসংখ্যা বাড়লেও জনবল বাড়েনিঃ মেয়র তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) আয়তন ও জনসংখ্যা বাড়লেও সেই অনুপাতে জনবল বাড়েনি বলে জানালেন ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বুধবার সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধন শেষে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস গণমাধ্যমকে একথা জানান।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “আমরা পাঁচটি অঞ্চলের জনবল (সাংগঠনিক কাঠামো) দিয়ে দশটি অঞ্চলের কাজ করছি, সেবা দিচ্ছি। যদিওবা আমাদের আয়তন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, জনসংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু জনবল বাড়েনি। পাঁচটি অঞ্চলের যে জনবল আমাদের নির্দিষ্ট করে দিয়েছে, তা দিয়ে আমরা দশটি এলাকার কাজ সম্পন্ন করছি। সুতরাং আমাদের জন্য কাজটি অত্যন্ত দুরূহ। আমাদের বাকি পাঁচটি অঞ্চলের সাংগাঠনিক কাঠামো অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সরকারের উচ্চ মহল বা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত বিষয় দ্রুত নিষ্পত্তি করে আমাদের সাংগঠনিক কাঠামো অনুমোদন দেবে বলে আমরা আশা করছি। তাহলে আমরা আরও জনবল নিয়োগ করে ঢাকাবাসীকে সঠিকভাবে সেবাটা নিশ্চিত করতে পারবো।”

গাড়ি চালকের যে পদগুলো খালি আছে সেগুলো পূরণের জন্য আমরা এরই মাঝে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “নিয়মিত গাড়ি চালক ও ভারী গাড়ি চালক নিয়োগের ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে একটি বিষয়, আমাদের জনবলের স্বল্পতা রয়েছে। এই স্বল্পতা কাটিয়ে ওঠাটাই আমাদের জন্য বেশি প্রতিকূলতা। আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের বিশেষ করে জনপ্রশাসন ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”

পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে গৃহিত ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “এ ব্যপারে আমরা অত্যন্ত কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি । যিনি পরিবহহন তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে ছিলেন তাকে আমরা কর্মচুত্য করেছি, অপসারণ করেছি। কারণ, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে, ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাঈম হত্যার পর এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করেছি এবং এ বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখেছি। প্রতিবেদনে যেসব অনিয়ম পাওয়া গেছে, সেই প্রেক্ষিতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের ৯ জন নিয়মিত গাড়ি চালক, যারা ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে গাড়ি চালাত। কিন্তু তারা গাড়ি না চালিয়ে দায়িত্ব অবহেলা করেছে। সে বিষয়টা আমাদের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে এবং তাদেরকে আমরা সাময়িক বরখাস্ত করেছি। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করেছি।”

এসময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, সচিব আকরামুজ্জামান, ৪ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, সাধারণ আসনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম, ২৮ নম্বরের কামাল উদ্দিন কাবুল, সংরক্ষিত আসনের সামসুন নাহার ভূঁইয়া,প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 5 =

Back to top button