ইরানের পরমাণু ইস্যুতে আলোচনায় ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’
বিশ্বের শক্তিধর কয়েকটি রাষ্ট্র তথা চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং ইরানের প্রতিনিধিরা অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বৈঠকে বসেছেন সেই ২৯ নভেম্বর। এতে ইউরোপীয় এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এনরিক মোরা সভাপতিত্ব করেন। তাদের লক্ষ্য ছিল জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ) অর্থাৎ ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির বাস্তবায়ন।
বার্তা সংস্থা জিনহুয়া জানিয়েছে, এনরিক মোরা ৭ম দফা সংলাপের অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন- প্রথমত, আমরা আমাদের কাজে নতুন ইরানি প্রতিনিধিদলকে অন্তর্ভুক্ত করেছি। আমরা খুব দ্রুত ইরানের সাথে ভালো সম্পর্ক স্থাপন করেছি।
দ্বিতীয়ত, দলগুলো বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ে গভীরভাবে আলোচনা করেছে। এর মধ্যে তেহরানের নতুন প্রশাসনের নতুন রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মোরা বলেন, আমরা আলোচনায় ইরানের নতুন দাবিগুলো অন্তর্ভুক্ত করেছি। নথিগুলো নিয়ে আমরা এখন কাজ করব।
ভিয়েনায় জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে চীনা দূত ওয়াং কুন গতকাল শুক্রবার বলেছেন, তিন সপ্তাহের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার পরে এবং সবপক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সপ্তম রাউন্ড আলোচনা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য এবং একটি নতুন দলিল তৈরি করেছে। আলোচনায় পরমাণু চুক্তিকে পুনর্বহাল করতে একটি শক্ত ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলছেন, তিনি আশা করছেন, এই রাউন্ডে পৌঁছানো গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, এটি চূড়ান্ত চুক্তিতে রূপান্তরিত হবে। জেসিপিওএ-এর লক্ষ্য হল ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুদ্ধার করা, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।
একতরফাভাবে ইরানের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটি। ২০১৯ সালের মে মাস থেকে তেহরান ধীরে ধীরে চুক্তির শর্ত বাস্তবায়ন বন্ধ করে প্রতিশোধ নিয়েছে। চলতি ডিসেম্বরেই আলোচনার পরবর্তী দফা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।