র্যাব এবং এর বর্তমান ও সাবেক ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও পররাষ্ট্র বিভাগ নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করে ব্যাখ্যাও চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এবার মার্কিন ওই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার জন্য দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে চিঠি লিখেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আজ রোববার সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, চিঠিতে গত ১৫ ডিসেম্বরের ফোনালাপের বিষয়গুলো ‘পুনর্ব্যক্ত’ করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ’ থাকার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, চিঠিতে এ কথা লিখেছি, তার সঙ্গে যে জিনিস নিয়ে আলাপ হয়েছে, সেটা নিয়ে। ফোনালাপের পরপর চিঠিটি তৈরি করা হয়, যা বছরের শেষ দিকে পাঠানো হয়েছে।
ব্লিঙ্কেকেনের সঙ্গে ফোনালাপটা পজিটিভ ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, তখন উনি বলেছেন, ‘অনেক ল মেকার ম্যান্ডেট করায় সিদ্ধান্তটা হয়েছে।’ বিভিন্ন ব্যাপারে উভয় দেশের ৫০ বছরের সম্পর্কটা বেশ উত্তম হওয়ায় ডায়ালগের সুযোগ থাকার কথা বলেছি আমরা। কোনো কিছু না জেনে হঠাৎ অপ্রত্যাশিত এই সিদ্ধান্তে আমরা বিস্মিত হয়েছি।
ক্রেডিবল অর্গানাইজেশন র্যাবের কারণে সন্ত্রাস কমেছে মন্তব্য করে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, তাদের কারণে মাদক, মানব পাচার নিয়ন্ত্রিত, যা যুক্তরাষ্ট্রেরও নীতি। এ ছাড়া উভয় দেশেই বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটে, পুলিশও মেরে ফেলে।
মানবাধিকারের প্রশ্নে সরকার সোচ্চার থাকার কথা চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই। র্যাবে কিছু বাজে কাজ যারা করেছে, তাদের শাস্তি হয়েছে। শক্তিশালীদের ক্ষেত্রেও আইন অন্ধ ছিল না। এসব বিষয় চিঠিতে তুলে ধরা হয়েছে।
“তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না করা তাদের বিষয়” মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, প্রত্যাহার করার কথা সরাসরি বলিনি আমরা। র্যাব ভালো প্রতিষ্ঠান হওয়ায় তাদের সিদ্ধান্ত পুনঃপরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারে তারা, সেটাই বলা হয়েছে।