সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে এবার নির্যাতন ও হত্যার হুমকির অভিযোগ তুলে জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেছেন স্বয়ং তাঁর স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান। এর আগে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের কাছে সহায়তা চান তিনি। তবে তার ডাকে সাড়া দিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাসায় গিয়ে ডা. মুরাদ হাসানকে পায়নি পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চান মুরাদ হাসানের স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান। ওই সময় তিনি মুরাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে ধানমন্ডি থানার পুলিশ পরিদর্শক, তদন্ত, সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল ১৫ নম্বর সড়কের বাসায় যান।
ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, জাতীয় জরুরি সেবার মাধ্যমে অভিযোগ পাওয়ার পর নারী পুলিশসহ ১০ জনের একটি দল নিয়ে ধানমন্ডির ওই বাসায় যাই। তবে তার আগেই বাসা থেকে বেরিয়ে যান মুরাদ হাসান।
এদিকে, ডা. জাহানারা এহসান জিডিতে লিখেছেন, তিনি (মুরাদ হাসান) সাম্প্রতিক সময়ে কারণে-অকারণে আমাকে ও সন্তানদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন। এমনকি দিচ্ছেন হত্যার হুমকিও।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার আনুমানিক পৌনে ৩টার দিকে পূর্বের মতো তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের গালিগালাজ করেন। “এক পর্যায়ে মারধর করার জন্য উদ্যত হলে ৯৯৯ নম্বরে কল দেই আমি। অভিযোগ পেয়ে বাসার ঠিকানায় পৌঁছায় ধানমন্ডি থানার পুলিশ। এ সময় বিবাদী, আমার স্বামী, বাসা থেকে বের হয়ে যান। এ অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমি। আমি আশঙ্কা করছি, যেকোনো সময় আমার ও আমার সন্তানদের ক্ষতিসাধন করতে পারেন বিবাদী।”
এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানার ওসি মো. একরামউদ্দিন মিয়া বলেন, জিডিটি তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হবে। ডা. মুরাদকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, এখনই সে ধরনের কিছু বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে পরবর্তী প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।
অন্যদিকে, ধানমন্ডি থানার পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ডা. মুরাদের বাসা থেকে ফিরে গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা গিয়ে ডা. জাহানারা এহসানকে কান্নাকাটি করতে দেখেছি। তিনি যখন ৯৯৯ নম্বরে কল করেন তখন মুরাদ হাসান বাসাতেই ছিলেন বলে জানতে পেরেছি। পরে তিনি বাসা থেকে বেরিয়ে যান। মায়ের ওপর নির্যাতনের কথা জানিয়েছে তাদের দুই সন্তানও।