সিজারের পর হাসপাতালের বিল দিকে অক্ষম হওয়ায় বাধ্য হয়ে নবজাতককে বিক্রি করে দিয়েছিলেন মা তামান্না বেগম। ঘটনাটি ঘটে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার পালস এইড হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ হওয়ার পর উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের বুকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সিজারের পর হাসপাতালের বিল দিকে অক্ষম হওয়ায় বাধ্য হয়ে নবজাতককে বিক্রি করে দিয়েছিলেন মা তামান্না বেগম। চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার এই ঘটনায় গণমাধ্যমে সংবাদ হওয়ার পর উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের বুকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত ২৬ জানুয়ারি সিজার অপারেশনের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তামান্না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার হাতে ৪০ হাজার টাকার বিল ধরিয়ে দেয়। টানাপোড়েনের সংসারে এই টাকা জোগাড় করা তার পক্ষে ছিল অসম্ভব। এক পর্যায়ে সদ্যজাত সন্তানটিকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন তিনি। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর সেই সন্তানের জন্য পাগলপ্রায় অবস্থা হয় তামান্নার।
এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরিফুল হাসান পুলিশ এবং স্থানীয় জনগনের সহায়তায় উপজেলার ষাটনল এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। দুই পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, উভয়ের সম্মতিতেই বেচাকেনার এই ঘটনা ঘটেছে। তাই কারও বিরুদ্ধেই কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সন্তান বেচাকেনার এই ঘটনা জানে না বলে দাবি করেছে। লিমন সরকার নামে হাসপাতাল মালিকের একজন প্রতিনিধি জানান, অপারেশনের কয়েকদিন পর ওই নারী যখন সেলাই কাটতে আসেন, তখন বাচ্চার কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছেন, বাচ্চা ভালো আছে।