ছেলের রক্তাক্ত লাশ দেখেও হৃদয় গলেনি বাবার!
সাঈদ আবদুল্লাহ নামের তেজগাও সরকারি বিজ্ঞান কলেজের এক ছাত্র মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইন পার হওয়ার সময়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেলে তার বাবা বিধু শীল ছেলের লাশ গ্রহন করে সৎকার করতে অস্বীকৃতি জানায়।
সাঈদ আবদুল্লাহর বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের হেতালিয়া পাড়ায়। তার নাম জুয়েল শীল পিতা বিধু কুমার শীল।
সে দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় ইসলামের সুমহান আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে পরিবার তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং তার সঙ্গে সম্পর্কছেদ করে। সাঈদ এসএসসি পাস করে ঢাকায় গিয়ে তেজগাঁও সরকারি বিজ্ঞান কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়।
পুলিশ জানায় সাঈদের মৃত্যুর খবর শুনে তার বাবা মাকে লাশ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করতে এলাকাবাসীর সাথে আমরাও গিয়েছিলাম। ওর বাবা তার লাশ গ্রহণ করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
পিতা লাশ গ্রহন নাকরায় সহপাঠীদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
তারা তার জানাজা ও দাফন কাফনের ব্যবস্থা করেছে।
থানা পুলিশের সহায়তায় সহপাঠী ও বন্ধুরা মিলে তার লাশ গ্রহণ করে শুক্রবার বাদ মাগরিব নিজ কলেজ মাঠে জানাজার পরে রাতেই বাড্ডা কবরস্থানে দাফন করা হয়।