বাজারে সিন্ডিকেটের কারসাজি নিয়ে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, “সিন্ডিকেটের দাপুটে উত্থান: নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে অসহায় সরকার”। খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নিত্যপণ্যের উৎপাদনে ও সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হলেও পণ্য এবং সব ধরনের সেবার দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে।
ফলে অর্থনৈতিক মন্দায় মানুষের আয় কমে গেলেও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। ভোক্তাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে একটি চক্র। তারা প্রতিবছর ভোক্তাকে জিম্মি করে হাজার কোটি টাকা ছিনিয়ে নিচ্ছে।
কিন্তু ওই চক্রের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। সরকারি দু-একটি সংস্থা কোনো কোনো ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নামমাত্র জরিমানা করছে। এতে জরিমানার অর্থ তুলতে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
এ পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে-ভোক্তার স্বার্থরক্ষায় সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কে? সরকারের চেয়ে সিন্ডিকেট কি বেশি শক্তিশালী – এমন প্রশ্নও উঠছে।
নির্বাচন নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, “সুষ্ঠু ভোট নিয়ে বৈশ্বিক তৎপরতা বাড়ছে”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বেশ আগে থেকেই সরব হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এরপর চীন, রাশিয়ার পর ভারতও এখন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের দুজন কংগ্রেস সদস্য এখন ঢাকায় আছেন, গত সপ্তাহে ঢাকা সফর করে গেছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়কারী, আবার এ মাসেই আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো প্যাসিফিক কমান্ডের পরিচালক।
এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল এসেছিল দুই সপ্তাহের বেশি সময় আগে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বৈশ্বিক বিভিন্ন উদ্যোগ আগ্রহ ও তৎপরতা বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
খবরে বলা হচ্ছে, বছরখানেক ধরে পাশ্চাত্য দেশগুলোর বিভিন্ন প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরে আগ্রহের একটা বড় দিক বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন। অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদে রয়েছে তাদের।
সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ ভারতও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে এবং নির্ধারিত সময় শান্তিপূর্ণ ভোটের কথা বলেছে।
দৈনিক সংবাদের প্রথম শিরোনাম, “মৌলভীবাজারের দুর্গম পাহাড়ে নতুন ‘জঙ্গি’ সংগঠন”। প্রতিবেদনে মূলত বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের কুলাউরা উপজেলায় পুলিশের অভিযানে নতুন ‘জঙ্গি’ সংগঠনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার তথ্য উঠে এসেছে।
‘জঙ্গি’ সন্দেহে ঢাকায় আটক হওয়া এক ব্যক্তির দেয়া তথ্যে নতুন সংগঠন সম্পর্কে জানার পর অভিযান পরিচালনা করে পুলিশের জঙ্গি বিরোধী ইউনিট কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। পাহাড়ঘেঁষা ওই গ্রামে অভিযানের নাম দেয়া হয় ‘অপারেশন হিলসাইড’।
অভিযান চালিয়ে ৪ পুরুষ ৬ নারীকে আটকের পাশাপাশি ৩ শিশুকে উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, এ অভিযানে যারা আটক হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ নামের ওই নতুন ‘জঙ্গি’ সংগঠনের সদস্য।
তারা এ সংগঠনের কার্যক্রম ও সদস্যদের প্রশিক্ষণের জন্য মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মদা ইউনিয়নের পূর্ব টাট্টিউলি গ্রামের এ নির্জন এলাকা বেছে নিয়েছে।
নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, “Dengue medicine prices shoot up” অর্থাৎ “ডেঙ্গুর ওষুধের দাম বেড়েছে”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন এলাকায় খাওয়ার স্যালাইন, ইনজেকশনযোগ্য স্যালাইন, অ্যানালজেসিক ট্যাবলেট এবং জ্বরের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সাপোজিটরিসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না।
কিছু ওষুধ পাওয়া গেলেও গুণতে হচ্ছে বাড়তি দাম। বাজার ঘুরে প্রতিবেদন জানিয়েছেন যে ১০ পিস নাপা ট্যাবলেটের দাম ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা, সাপোজিটরির এক পিসের দাম ৩৫ টাকা থেকে ৫০ টাকায় উঠেছে। ৮০ টাকার স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
ওষুধের দোকান মালিকরা এজন্য ওষুধ কোম্পানিগুলিকে দায়ী করেছেন। তাদের দাবি কোম্পানিগুলো পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে লাভবান হওয়ার জন্য ওষুধের সরবরাহে বিলম্ব করছে এবং ওষুধের দাম বাড়াচ্ছে।
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো। তাদের দাবি চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় জীবন রক্ষাকারী ওষুধগুলোর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, “Austerity Measures: Govt misses the mark”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকারের কঠোর অবস্থানে গেলেও শেষ পর্যন্ত গত অর্থবছরে তেমন কোন অর্থ সঞ্চয় হয়নি।
সদ্য শেষ হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম কার্যদিবসে যখন অর্থ সাশ্রয়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, তখন আশা করা হয়েছিল যে বছরে কমপক্ষে ২৩ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে, এতে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। কিন্তু বাস্তবে, প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী সঞ্চয়ের পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার কোটি টাকার মতো।
অর্থ সাশ্রয়ের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও নয় মাসের মধ্যে সমস্ত কঠোরতা শিথিল করা হয়। এছাড়া যানবাহন, বিমান, হেলিকপ্টার, জাহাজ, নৌকা বা বার্জ কেনার উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেটাও তুলে নেওয়া হয়।
বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, “২০২৩ সালে ডলারের হিসাবে বাংলাদেশের জিডিপি প্রায় ৪০ বিলিয়ন কমবে”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২২ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হারে অবমূল্যায়ন হয়েছে ২৭ শতাংশের বেশি। সামনের দিনগুলোয় এ ধারা অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
দেশের সার্বিক অর্থনীতিতেও এর প্রভাব এখন ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, চলতি ২০২৩ পঞ্জিকাবর্ষে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার কমতে পারে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার।
এতে বড় ভূমিকা রাখছে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সংকোচনমূলক আর্থিক ও মুদ্রানীতির কারণে দেশের বেসরকারি খাতের শিল্প উৎপাদন ও ভোগে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
অন্যদিকে, ডলার সংকটে কাঁচামাল আমদানিতে প্রয়োজনমাফিক এলসি খুলতে পারছেন না শিল্পোদ্যোক্তারা। জনসাধারণের ভোগ প্রবণতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে মূল্যস্ফীতি। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এখন সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিকূলে।
সমকালের প্রধান শিরোনাম, “প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত সাত চিকিৎসক গ্রেফতার”। প্রতিবেদনে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সাত ডাক্তারসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে ২০২০ সালেও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল।
শনিবার রাতে সিআইডি আকস্মিকভাবে জানায়, সাত চিকিৎসহ মোট ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে প্রশ্ন ফাঁস চক্রে রয়েছে মেডিকেল কোচিং সেন্টারগুলো। প্রশ্ন ফাঁসে চিকিৎসকের সরাসরি সংশ্লিষ্টতাও তদন্তে বেরিয়ে আসে।
জড়িত ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসেবেও খতিয়ে দেখা হয়েছে। কয়েকজনের হিসাব নম্বরে লাখ লাখ টাকা পাওয়া গিয়েছে। বিদেশে তার অর্থ পাচার করতেন বলে জানা গিয়েছে। চিকিৎসকদের মধ্যে কয়েকজন বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টারের সঙ্গে জড়িত বলে সমকাল জানতে পারে।
কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, “পরিকল্পনায় ভুল, নকশায় ত্রুটি”। প্রতিবেদনে কক্সবাজারের রেললাইনের পরিকল্পনায় ভুল এবং প্রকল্পের নকশায় ত্রুটির কারণে পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন এই রেলপথ দক্ষিণ চট্টগ্রামে বিশেষ করে সাতকানিয়ায় সাম্প্রতিক বন্যার অন্যতম কারণ। দেশের অন্য অঞ্চলে প্রাকৃতিক পানির প্রবাহ উত্তর থেকে দক্ষিণমুখী হয়ে থাকে। কিন্তু এই অঞ্চলের পানির স্রোত ও পাহাড়ি ঢল পূর্ব থেকে পশ্চিমমুখী। আর রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে উত্তর থেকে দক্ষিণমুখী।
ফলে নির্মীয়মাণ নতুন রেললাইন পানির স্রোতের মুখোমুখি হয়ে চাপ নিতে ব্যর্থ হয়। এর মাধ্যমে যথাযথ পরিকল্পনার অভাব এবং প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে যে দুর্বলতা ছিল তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ফলে এর ভিত্তিতে প্রকল্পের যে নকশা করা হয়েছে তা-ও ত্রুটিপূর্ণ হয়েছে।
অন্যান্য খবর
সংবাদের প্রতিবেদন, “অভিযান, জরিমানা, কিন্তু কমেনি ডিমের দাম”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে ডিমের অতিরিক্ত দাম নিয়ন্ত্রণে শনিবার ১২ অগাস্ট অভিযানে নেমেছিল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ঢাকার কাপ্তান বাজারে তিনটি পাইকারি ডিম বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করেছে তারা। তবে অভিযানের পরও ডিমের দাম কমেনি।
ডিমের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘বড় বড় খামারিরা, তেজগাঁওয়ের বড় বড় ব্যবসায়ীরা, কোম্পানিরা মিলে সিন্ডিকেট করছে। তাদের ওপর অভিযান চালালে সেখানে ডিমের দাম কমতো। সঠিক জায়গায় অভিযান চলছে না। খুচরা ব্যবসায়ীদের ওপর অভিযান চালালে ডিমের দাম কমবে না।’
ডেঙ্গু নিয়ে নিউ এইজে প্রকাশিত আরেকটি খবর, “WHO for swift action to tackle dengue situation in Bangladesh” অর্থাৎ “বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার”।
এ খবরে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে ডেঙ্গু এখন মহামারী রূপ নিয়েছে এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশটির সরকারকে অবিলম্বে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
শুক্রবার প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট নামে পরিচিত একটি কৌশলগত পদ্ধতি রয়েছে, যা কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে।
সংস্থাটির মতে, মশার সম্ভাব্য প্রজনন স্থানগুলি অপসারণ করতে, এই পদ্ধতি নিয়ে কাজ করা উচিত। ওই পদ্ধতির মধ্যে মশার লার্ভা এবং প্রাপ্তবয়স্ক মশা নিয়ন্ত্রণের নানা কৌশলের কথা বলা আছে।