আন্তর্জাতিক

গাজায় নতুন করে ইসরাইলি বোমা হামলায় শিশু সহ প্রায় ৩০ জন নিহত

ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলি আগ্রাসন থামছেই না! গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, শুক্রবার ইসরাইলি বোমা হামলায় প্রায় ৩০ জন নিহত হয়েছে। এদিকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি ভূ-খণ্ডকে লক্ষ্য করে তিনটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।

সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপি’কে বলেছেন, ‘শুক্রবার ছিল গাজার বাসিন্দা, বিশেষ করে গাজা শহরের জন্য একটি কঠিন দিন। এদিন ইসরাইল গাজায় ক্রমাগত বোমা বর্ষণ করে।’ তিনি আরো বলেন, হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় ‘ইসরাইলি বিমান বাহিনী হামাসের প্রায় ৪০টি আস্তানায় হামলা করেছে।’।

বাসাল ইসরাইলের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে উত্তরাঞ্চলীয় শহর বেইত লাহিয়ার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে ‘কয়েকজন চিকিৎসা কর্মী, রোগী ও আহতদের কাছে খাবার ও পানি পৌঁছাতে বাধা দেওয়ার’ জন্য সামরিক বাহিনীকে অভিযুক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘এখন এখানে কোনো হাসপাতালের চিহ্নও নেই, আছে শুধু ‘শুধু ধ্বংসস্তূপ ও দেয়াল।’
রোববার জাতিসংঘের একটি দল ইন্দোনেশিয়ার হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে।

জাতিসংঘের সাহায্য কর্মকর্তা জোনাথন হুইটল সফরের পরে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে বলেছেন, ‘আমার চারপাশে ধ্বংসস্তূপ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাইনি।’

ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বারবার হামাসের বিরুদ্ধে হাসপাতালগুলোকে কমান্ড সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে। ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ বাহিনী বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস হাসপাতালটিকে এখন সামরিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছে বলে ইসরাইল যে অভিযোগ করে আসছে, তার স্বপক্ষে ‘পর্যাপ্ত বা নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ’ মিলেনি।

গাজা উপত্যকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে হামাস বলেছে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির জন্য শুক্রবারের পরে কাতারে ইসরাইলের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা শুরু হবে।

মধ্যস্থতাকারী কাতার, মিশর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কয়েক মাস ধরে ইসরাইল ও হামাসকে নিয়ে বারবার আলোচনায় বসলেও এ আলোচনা প্রায় ১৫ মাসের যুদ্ধ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে ইসরাইলের অনীহা চুক্তির প্রধান বাধা।

বৃহস্পতিবার, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, তিনি ইসরাইলি আলোচকদের দোহায় আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে উত্তর গাজায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখে বলেছে, এটি হামাস জঙ্গিদের পুনরায় সংগঠিত হতে বাধা দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা সোমবার বলেছেন, উত্তর গাজা ‘অবরোধ গাজা অধিভুক্তির পূর্ব পদক্ষেপ হিসাবে স্থানীয় জনগণকে স্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুত করার’ প্রচেষ্টার অংশ বলে মনে হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 + 8 =

Back to top button