Lead Newsকূটনীতিজাতীয়

শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিলের পর ভারতের নতুন সিদ্ধান্ত

শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিলের পর ভারতের নতুন সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিলের ঘোষণার পরদিনই ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর খবর দিল ভারতীয় গণমাধ্যম। কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে ৮ জানুয়ারি বুধবার ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইনে ‘শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করল নয়াদিল্লি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ঐ খবরে বলা হয়- দুই দিন আগেই হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরানোর জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাসিনা এবং সহ-অভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হতেও বলা হয়েছে।

বাংলাদেশে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান বলে রেখেছেন- ভারত যদি শেখ হাসিনাকে না পাঠায়, তা হলে অনুমতি সাপেক্ষে ভারতে গিয়েও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রাজি কমিশন। গোটা বিষয়টিকে নয়াদিল্লির উপরে চাপ বাড়ানোর কৌশল হিসেবেই দেখেছে ভারত।

শীর্ষ কূটনৈতিক সূত্রের খবর, এই পরিপ্রেক্ষিতেই অতি সম্প্রতি শেখ হাসিনার ভারতে থাকার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়াবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তবে দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি ‘কূটনৈতিক’ নয়, ‘আইনি’।

কোনও অন্তর্বর্তী সরকার অন্য রাষ্ট্রের স্থায়ী সরকারের কাছে কোনও রাজনৈতিক নেতার প্রত্যর্পণ চাইলে, তার সমস্ত আইনি দিক খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়েছে। ফলে, হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশের পাঠানো কূটনৈতিক বার্তার (নোট ভার্বাল) উত্তর অবশ্যই দেওয়া হবে ‘যথাসময়ে’। কিন্তু তার জন্য কোনো তাড়াহুড়া করা হবে না।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের খবর, বাংলাদেশের বার্তার সব দিক খতিয়ে দেখে জবাব দিতে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে। আর সে কারণেই হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।সূত্রের খবর, দিল্লির ‘ফরেন রিজিয়নাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের’ (এফআরআরও) মাধ্যমে আবেদন করিয়ে ভারতে থাকার কাগজ বৈধ করে নেওয়া হয়েছে। আর এ কারণে হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কোনও প্রশ্নই উঠছে না ভারতের পক্ষ থেকে।

প্রসঙ্গত, ভারতে কোনো রাজনৈতিক আশ্রয় সংক্রান্ত আইন না থাকায় এফআরআরও–র মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ভারতে বসবাসের বৈধতা দেওয়া হয়েছে। তবে কত দিনের জন্য এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এদিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করেছে ডঃ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ঐ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গুম ও হত্যায় জড়িত ২২ পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় জড়িত ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে, এর মধ্যে শেখ হাসিনার নামও আছে।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × five =

Back to top button