ইভিএম আমাকে চিহ্নিত করতে পারেনি: জাফরুল্লাহ
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে ইভিএমে আঙুলের ছাপ মেলেনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর। তিনি বলেন, ইভিএম আমাকে আইডেন্টিফাই (চিহ্নিত) করতে পারলো না। আমার যখন আঙুলের ছাপ মিললো না, তখন আমার ভোট আরেকজন দিয়ে দিতে পারে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে কাকলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দিতে যান তিনি। এমন অভিজ্ঞতার পর দায়িত্বরত নির্বাচনী কর্মকর্তা নিজ ক্ষমতাবলে জাফরুল্লাহর ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, আমাকে ভোট দিতে কেউ বাধা দেয়নি। তবে ভোটকেন্দ্রে একটি নির্দিষ্ট দলের এজেন্ট ছাড়া আর কারো এজেন্ট নেই।
তিনি বলেন, আমি কেন্দ্রে দায়িত্বরতদের জিজ্ঞাসা করি, অন্যদের পোলিং এজেন্ট কই? তারা আমাকে বলে, একটু আগেই ছিল, হয়তো আশেপাশে আছে। এছাড়া কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিও অনেক কম বলে জানান তিনি।
তার মতে, আমার নাম যে শিটে ছিল, সেখানে আরও ২৮ জনের নাম ছিল। আমিসহ ওই শিটের ৪ জন ভোট দিয়েছে। আমার আঙুলের ছাপ না মেলায় নির্বাচনী কর্মকর্তারা আমাকে ভোট দেয়ার জন্য ইভিএম অন করে দিল। সুতরাং যারা ভোট দিতে আসবে না তাদের ভোটতো অন্য কেউ দিয়ে দিতে পারে। ইভিএম মেশিনের আরও আধুনিকায়ন করা দরকার।
এদিকে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতে গেলে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেমএম নূরুল হুদার আঙুলের ছাপও মেলেনি। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে তিনি ভোট দেন।
শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের আইইএস স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে যান সিইসি।
কলেজ ভবনের দোতালায় আট নম্বর বুথে তিনি ভোট দিতে ঢোকেন। ইভিএম মেশিনে তার দুই হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি স্ক্যান করা হয়। তবে কোনোটিই ম্যাচ করেনি।
এর পর দ্রুত কর্মকর্তারা তার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর দিয়ে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করেন। এরপর তিনি ভোট দিয়ে চলে যান।
সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সিদ্দিকা বুলবুল এ বিষয়ে বলেন, সিইসির প্রথম দুটি বৃদ্ধাঙ্গুলীর ছাপ নেয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে তা ম্যাচিং করেনি। পরে আমরা আর চেষ্টা করিনি।
তিনি জানান, তাড়াহুড়োর কারণে এবং ভোটার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য আমরা তার এনআইডি নম্বর দিয়ে ভোট নিয়েছি।
ইভিএম মেশিনে ফিংগার প্রিন্ট না মেলার বিষয়ে পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, কারো ফিংগার প্রিন্ট না মিললেও ভোট দেয়ার তিন-চারটি উপায় আছে। সেভাবে তারা ভোট দিতে পারবেন।
আরও খবর পেতেঃ রাজনীতি – ফ্যাশন
positive news, positive news